বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
ইসলামপুর হাসপাতালের সুপার নারায়ণ মিদ্যা বলেন, আমাদের মহকুমা হাসপাতালে তিন জন সার্জন আছেন। কিন্তু এখানে মাইক্রো সার্জারি হয় না। কারণ এই হাসপাতালটি সেকেন্ডারি লেভেল হাসপাতাল। সেকেন্ডারি লেভেল হাসপাতালে মাইক্রো সার্জারি হয় না। ইসলামপুর পুরসভার প্রশাসক তথা হাসপাতালের রোগীকল্যণ সমিতির চেয়ারম্যান কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, এবিষয়ে স্বাস্থ্যদপ্তরের সঙ্গে কথা বলব। স্থানীয় বাসিন্দা তথা বিজেপি নেতা সুরজিৎ সেন বলেন, রাজ্য সরকার এখানে একটি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল তৈরি করেছে। কিন্তু সেখানে অনেক বিষয়েই চিকিৎসা হয় না। মহকুমা হাসপাতালে মাইক্রো সার্জরির পরিকাঠামো না থাকলে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে তা করা যেত। কিন্তু এবিষয়ে প্রশাসনের উদাসীনতায় মাইক্রো সার্জারির সুবিধা মানুষ পাচ্ছে না। হাসপাতালের চিকিৎসকরাই নার্সিংহোমে মাইক্রো সার্জারি করছেন।
বাসিন্দারা বলেন, ইসলামপুর মহকুমা এলাকার চোপড়া, ইসলামপুর, গোয়ালপোখর ও চাকুলিয়া এবং করণদিঘি ব্লকের মানুষ চিকিৎসার জন্য মহকুমা হাসপাতালের উপর নির্ভরশীল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা পদ্ধতিরও অনেক উন্নতি হয়েছে। পুরনো পদ্ধতিতে ওপেন সার্জারির চাইতে মাইক্রো সার্জারি করাতে অনেক রোগীই আগ্রহ দেখাচ্ছেন। বিশেষ করে এখন কিডনি ও গলব্লাডারে স্টোনের সমস্য রেড়ে চলেছে। বিভিন্ন বয়সিদের এই সমস্য দেখা যাচ্ছে। ওপেন সার্জারিতে কেটে অপারেশন করা হয় বলে অনেকেই ভয় পান। তাই তাঁরা মাইক্রো সার্জারি করাতে চান। কিন্তু সরকারি হাসপাতালে এই সুবিধা না থাকায় নার্সিংহোমে কিংবা অন্য রাজ্যে গিয়ে তা করাতে হয়। আর্থিক সঙ্গতি আছে যাঁদের, তাঁরা সেটা পারলেও অভাবী পরিবারগুলির পক্ষে নার্সিংহোম কিংবা অন্য রাজ্যে গিয়ে চিকিৎসা করানো সম্ভব হচ্ছে না। তাই সরকারি হাসপাতালই তাঁদের ভরসা। ইসলামপুর হাসপাতালে মাইক্রো সার্জারির ব্যবস্থা না থাকায় তাঁরা ওপেন সার্জারি করাতে বাধ্য হচ্ছেন।
তাঁদের দাবি, সরকারিভাবে উদ্যোগ নিয়ে হাসপাতালে মাইক্রো সার্জারি চালু করা হোক। হাসপাতালে এবিষয়ের চিকিৎসকও আছেন। প্রয়োজন শুধু যন্ত্রপাতির। এখানে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল রয়েছে। বিশাল আকারের এই হাসপাতালে শুধুই প্রসূতি ও শিশু বিভাগ চালু আছে। মহকুমা হাসপাতালে না হলে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে মাইক্রো সার্জারির চালুর দাবি উঠেছে। মহকুমার প্রতিটি ব্লকেই আছে ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র। সেখানে চিকিৎসা সম্ভব না হলে মহকুমা হাসপাতালে রেফার করা হয়। মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসা সম্ভব না হলে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে রেফার করা হয়। ইসলামপুর থেকে জেলা সদর রায়গঞ্জের দূরত্ব ১০০ কিমি। অন্যদিকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের দূরত্ব ৭০ কিমি। ফলে ইসলামপুরে চিকিৎসা পরিকাঠামো উন্নয়নের দাবি জোরালো হচ্ছে।