পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
অন্যদিকে করোনা পরিস্থিতির জেরে লকডাউন চলায় পাটের জমিতে এবার বিকল্প চাষও করতে পারেননি চাষিরা। তাঁরা জানান, বর্তমানে লকডাউনের কারণে কৃষিপণ্য বিক্রি করতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। যার ফলে তাঁদের হাতে নগদ টাকা নেই। অনেকের বিকল্প চাষের ভাবনা থাকলেও টাকা না থাকায় তা করতে পারেননি। একদিকে লকডাউন ও অপরদিকে প্রতিকূল আবহাওয়ার যাঁতাকলে পড়ে এবার চাষিরা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
কৃষিদপ্তর জানিয়েছে, জেলায় প্রায় ৩৫ হাজার হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়। পাটের বীজ বোনার সময়ই লকডাউন শুরু হওয়ায় এমনিতে চাষের এলাকা অন্যান্যবারের তুলনায় কিছুটা কম হয়েছে। তার উপর আবহাওয়া প্রতিকূল হওয়ায় এবার ফলনের ক্ষেত্রেও ব্যাপক মার খাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। জেলা জুড়ে আগে মিঠে পাটের চাষ বেশি হলেও বিগত কয়েক বছর ধরে দেশি পাটের চাষ বেশি হচ্ছে। দেশি পাট সাধারণত নিচু জমিতেই ভালো হয়। এবারে এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে জেলায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে। ফলে পাট খেতে নিড়ানি দেওয়ার সময়ও চাষিদের সমস্যায় পড়তে হয়েছিল। নিড়ানির সময়ে রোদ থাকলে তুলে ফেলা আগাছা শুকিয়ে যেত। তা না হওয়ায় এবারে দ্বিতীয় বার নিড়ানি দেওয়ার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু উম-পুনের প্রভাবে বিগত দু’সপ্তাহ ধরে জেলাজুড়ে প্রতিদিন বৃষ্টি হওয়ায় পাটের জমিতে হাঁটু সমান জল জমে থাকছে। ফলে নিড়ানি দেওয়া যাচ্ছে না। এতে দ্রুত আগাছা বাড়ছে। এসব কারণে এবার জেলায় পাট উৎপাদন অনেকটাই কম হবে বলে মনে করছে জেলা কৃষিদপ্তর।
এব্যাপারে কোচবিহার সদর মহকুমা কৃষি আধিকারিক গোপাল চন্দ্র বর্মা চাষিদের সুরেই বললেন, দ্বিতীয়বার নিড়ানি দেওয়ার সময়েও ব্যাপক বৃষ্টি হল। অনেক জমিতেই জল জমে থাকায় পাট গাছের বৃদ্ধি হচ্ছে না। আবহাওয়া প্রতিকূল হলে কিছু করার নেই। কোচবিহার জেলা সহ কৃষি অধিকর্তা অরুণ কুমার বসুও বললেন, জেলায় এবার কিছুটা কম পাট চাষ হয়েছে। তাছাড়া টানা বৃষ্টিতে জেলায় পাটের ফলনে ব্যাপক মার খাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হল।