পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বিএসএফের উত্তরবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের ডিআইজি রাজীবরঞ্জন শর্মা বলেন, করোনা আক্রান্ত ওই জওয়ানের চিকিৎসা শুরু হয়েছে। পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি অনুসারে করোনা মোকাবিলায় যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
এতদিন পর্যন্ত উত্তরবঙ্গে ভিনরাজ্য থেকে ফেরা শ্রমিক সহ অন্যান্য পেশার মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এমনকী হাসপাতালের ফ্রন্টলাইনে থেকে আক্রান্তের চিকিৎসা করতে গিয়ে কয়েকজন নার্স করোনা আক্রান্ত হন। এবার বিএসএফের উত্তরবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের হেড কোয়ার্টারের অফিসে করোনা হানা দিয়েছে। শিলিগুড়ির কদমতলা এলাকায় ওই অফিসটি। বিএসএফ সূত্রের খবর, কয়েকদিন আগে ওই ইন্সপেক্টার গলার সমস্যায় আক্রান্ত হন। তাঁর গলা খুসখুস করছিল এবং কাশি হচ্ছিল। গত ২৮ মে তিনি নিজে থেকেই উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে সোয়াবের নমুনা দিয়ে আসেন। সোয়াব টেস্টের রিপোর্টে তাঁর করোনা পজিটিভ আসে। এদিন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ভিআরডিএল থেকে ওই রিপোর্ট বিএসএফের কাছে যায়। এরপরই ওই ইন্সপেক্টরকে বিএসএফের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বিএসএফের এক অফিসার বলেন, ভিনরাজ্য থেকে ছুটি কাটিয়ে জওয়ানরা এখানে ফিরছেন। সংশ্লিষ্ট জওয়ানদের থাকা, খাওয়া সহ কোয়ারেন্টাইনে রাখার দায়িত্বে ছিলেন ওই ইন্সপেক্টার। সম্ভবত সেখান থেকেই তিনি সংক্রামিত হয়েছেন বলে মনে হচ্ছে। তাই প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে তাঁর সংস্পর্শে আসা অফিসার ও কনস্টেবল সহ ৪০ জনকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রাখা হয়েছে। এঁদের সকলের সোয়াবের নমুন সংগ্রহ করে মেডিক্যালের ভিআরডিএলে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। ওই ইন্সপেক্টরের সংস্পর্শে আরও কেউ এসেছেন কি না তাও জানার চেষ্টা চলছে। তবে আক্রান্তের মধ্যে করোনার কোনও লক্ষণও ছিল না।
ওই ইন্সপেক্টার আক্রান্ত হতেই বিএসএফ কর্তৃপক্ষ করোনা মোকাবিলায় আরও তৎপর হয়ে উঠেছে। হেড কোয়ার্টারের সমগ্র এলাকা জীবাণুমুক্ত করার কাজ শুরু হয়েছে। বিএসএফ সূত্রের খবর, করোনার মোকাবিলায় অনেকদিন আগেই সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। হেড কোয়ার্টারের প্রবেশ ও বেরবার পথে স্ক্রিনিং টিম মোতায়েন করা হয়েছে। কোয়ারেন্টাইন সেন্টারও আগেই চালু করা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্থানীয় হাসপাতালে কোভিডের চিকিৎসা ব্যবস্থা করা হয়েছে। ডিআইজি বলেন, ইতিমধ্যে হেড কোয়ার্টারের অফিস, জওয়ানদের মেস, ক্যান্টিন প্রভৃতি এলাকা স্যানিটাইজ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, উত্তরবঙ্গের কোচবিহার থেকে মালদহ জেলার বিভিন্ন এলাকা সংশ্লিষ্ট ফ্রন্টিয়ারের অধীনে রয়েছে। সংশ্লিষ্ট এলাকায় বেশকিছু জেলা হেড কোয়ার্টার, ক্যাম্প ও বর্ডার আউট পোস্ট রয়েছে। বিএসএফ সূত্রের খবর, করোনা পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলির বহু জওয়ান ছুটি কাটিয়ে ফিরেছেন। যারমধ্যে ৫০০ জনকে ইতিমধ্যে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। ওই তালিকায় এসআই, এএসআই, কনস্টেবল রয়েছেন। বিএসএফের উত্তরবঙ্গ ফ্রন্টিয়ার হেড কোয়ার্টারের এক অফিসার বলেন, সমগ্র পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে।