পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
কোচবিহার রাজবাড়ির দায়িত্বে থাকা আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার অ্যাসিস্টেন্ট আর্কিওলজিস্ট চুনচুন কুমার বলেন, বর্তমানে রাজবাড়িতে পর্যটকদের প্রবেশ নিষেধ রয়েছে। ফলে আড়াই মাসে প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা লোকসান হয়েছে। তবে আমরা অফিস খোলা রেখেছি। রাজবাড়িতে পর্যটকদের প্রবেশ অবাধ হওয়ার আগে মিউজিয়ামের সমস্ত ঘর স্যানিটাইজ করা হবে।
কোচবিহার রাজবাড়িতে সাধারণ সময়ে প্রতিদিন গড়ে দেড় হাজার পর্যটক আসতেন। শনি-রবিবার সেই সংখ্যাটা আরও বেশি হতো। এছাড়াও কোচবিহারের বিভিন্ন উৎসবের সময়েও এখানে পর্যটকের ঢল নামে। তাঁদের টিকিট বাবদ মাসে গড়ে প্রায় নয় লক্ষ টাকা আয় হয়। পর্যটকদের টিকিট বিক্রি করে যে আয় হয়, সেই উপার্জনই বিগত আড়াই মাস ধরে বন্ধ রয়েছে। তবে উপার্জন বন্ধ থাকলেও এখানে কর্মরত অস্থায়ী কর্মীদের ঠিকঠাক বেতন মিলছে বলে রাজবাড়ি সূত্রে জানা গিয়েছে। প্রতিদিন নিয়ম মেনে পঞ্চাশ শতাংশ কর্মী এখানে কাজ করছেন।
রাজবাড়ির মিউজিয়ামে বহু মূল্যবান সামগ্রী রয়েছে। কোচবিহারের মহারাজাদের ব্যবহৃত বহু সামগ্রী, অস্ত্র, ছবি, নারায়ণী মুদ্রা সহ একাধিক দর্শনীয় জিনিস রয়েছে। লকডাউনের দিনগুলিতে মিউজিয়াম বন্ধ থাকলেও সেগুলির রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিষ্কারের কাজ যথারীতি চলছে। কবে রাজবাড়ি পর্যটকদের জন্য খুলবে, তার কোনও স্পষ্ট নির্দেশিকা না থাকলেও আগামী অক্টোবর মাস পর্যন্ত পর্যটন কেন্দ্রগুলি বন্ধ থাকার সম্ভবনা রয়েছে বলে মনে করছে কর্তৃপক্ষ। তবে যদি পরিস্থিতির কোনও রকম পরিবর্তন হয় তাহলে আগেও খুলতে পারে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।