পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
রায়গঞ্জ পুলিস জেলার স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ এবং রায়গঞ্জ থানার পুলিস যৌথ অভিযান চালিয়ে শুক্রবার গভীর রাতে জাতীয় সড়ক থেকে একটি গাড়ি সহ ওই দুই দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করে। গাড়ির সামনের সিটের নীচে দশটি প্যাকেটে প্রায় এক কেজি মাদকের প্যাকেট লুকিয়ে রাখা ছিল। ধৃতদের শনিবার রায়গঞ্জ আদালতে তোলা হয়। বিচারক তাদের সাত দিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। ওই দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই চক্রের আরও সদস্যদের নাগাল পেতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
এবিষয়ে রায়গঞ্জ পুলিস জেলার সুপার সুমিত কুমার বলেন, আমাদের কাছে খবর ছিল যে একটি গাড়িতে নিষিদ্ধ মাদক পাচার করা হচ্ছে। সেই মোতাবেক আমাদের স্পেশাল অপারেশন গ্রপ এবং রায়গঞ্জ থানা যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে দুই ব্যক্তিকে প্রায় ১৭ লক্ষ টাকার ব্রাউন সুগার সহ গ্রেপ্তার করেছে। তাদের সাত দিনের পুলিসি হেফাজতে রাখা হয়েছে।
পুলিস জানিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরেই তাদের কাছে খবর আসছিল যে মুর্শিদাবাদ থেকে ব্রাউন সুগার উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তে পাচার করা হচ্ছে। আন্তঃরাজ্য পাচারকারীদের একটি দল উত্তরবঙ্গের পাশাপাশি বিভিন্ন রাজ্যে এই মাদক পাঠাচ্ছে। রায়গঞ্জ পুলিস জেলার বেশ কিছু দুষ্কৃতী এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। রায়গঞ্জ থানার আইসি সুরজ থাপা এবং স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের ওসি তরুণ কর্মকার বিষয়টি নিয়ে তৎপর হন। এরপরই শুক্রবার রাতে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের বারদুয়ারি এলাকায় একটি সাদা গাড়ি আটক করে পুলিস। প্রাথমিক জেরা করে পুলিস জানতে পেরেছে যে ওই ব্রাউন সুগার মুর্শিদাবাদ থেকে ডালখোলায় নিয়ে যাচ্ছিল ওই দুই দুষ্কৃতী। সেখান থেকে এসে বিভিন্ন জায়গায় তা ভাগ ভাগ করে পাঠানোর পরিকল্পনা ছিল তাদের। এর পেছনে আন্তর্জাতিক মাদক পাচার চক্রেরও হাত থাকতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারী অফিসাররা।