পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
ওই সেন্টারে থাকা শ্রমিকদের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ১৮ ঘণ্টারও বেশি সময় পার হয়ে গিয়েছে। কিন্তু তাদের কোনও খাবার জোটেনি। স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ তাঁদের বাড়ি চলে যেতে বলেছে। অথবা সেন্টারে থাকলে খাবার জোগাড় করে খেতে বলেছে। এই অবস্থায় তাঁরা চরম বিপদে পড়েছেন। কেননা ভিনরাজ্য থেকে এসেছেন বলে তাঁদের নিয়ে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। তাঁরা গ্রামের বাড়িতে যেতে পারছেন না। আবার সেন্টারে খাবার জুটছে না।
এবিষয়ে করকচ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ফুলমণি হাঁসদা বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরেও ওই সেন্টারে থাকা প্রায় ৫০ জন শ্রমিককে খাবার দেওয়া হয়েছে। অনেক দিন পরিয়ায়ী শ্রমিকদের আমরা খেতে দিলাম। কিন্তু আর পারছি না। আর কতদিন এভাবে চলবে? এত আর্থিক ক্ষমতা পঞ্চায়েতের নেই। তাই আমরা ওই শ্রমিকদের অনুরোধ করেছি যাতে অন্য কোথাও থেকে বা বাড়ি থেকে খাবারের ব্যবস্থা করে নেন।
এব্যাপারে গাজোলের জয়েন্ট বিডিও সন্দীপন দে বলেন, আমার কাছে এই রকম কোনও রিপোর্ট আসেনি। যতদূর জানি ওখানে কোনও সমস্যা হচ্ছে না। আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি।
আমচল হাইস্কুলে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে থাকা পরিযায়ী শ্রমিক অনিল বর্মন, গৌর বর্মনরা বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে শেষ ভাত খেতে দেওয়া হয়েছিল। তারপর আর আমাদের পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে কিছু খেতে দেয়নি। ওরা বলে গিয়েছে, বাড়ি চলে যাও। এখানে আর দেখাশোনার কেউ থাকবে না। আর এখানে থাকলে বাড়ি থেকে কাউকে দিয়ে খাবার আনিয়ে খেতে হবে। কিন্তু নানা কারণে আমরা গ্রামে ঢুকতে পারছি না। এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে আমরা এখানে রয়েছি। এই পরিস্থিতিতে আমাদের দাবি, আরও যেকয়েকটা দিন থাকব, সরকার থেকে আমাদের জন্য খাবার ব্যবস্থা করে দিক প্রশাসন।
প্রসঙ্গত, পরিযায়ী শ্রমিকরা মালদহে ফিরতে শুরু করতেই জেলায় হু হু করে বাড়তে শুরু করেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। বর্তমানে জেলায় করোনা রোগীর সংখ্যা দেড়শোর কাছাকাছি। এই পরিস্থিতিতে তাই জেলায় ফেরা পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে। তাঁরা বাড়ি ফিরতে চাইলেও তাঁদের এলাকায় ঢুকতে দিচ্ছেন না গ্রামবাসীরা।