পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বৃহস্পতিবার হরিরামপুর থানার দোলকুড়া গ্রামে গৃহবধূ পারুল পারভিনের(২১) মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ব্যাপক গোলমাল হয়। স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় একবছর আগে সামাজিক ভাবে বিয়ে হয় কুশমণ্ডির পারুল ও সাহিদুরের। অভিযোগ, গত তিন মাস আগে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে সাহিদুর। ঘটনা জানাজানি হতেই দুই পরিবার সহ গ্রামবাসীরা মিলে সালিশি সভা বসায়। সেখানেই সাহিদুরকে বুঝিয়ে পরকীয়া সম্পর্কের ইতিও টানতে বলা হয়। কিন্তু পারিবারিক বিবাদ সেখানেই থেমে যায়নি। ওই ঘটনার পরে পারভিন অভিমান করে তাঁর বাবার বাড়ি চলে যান। ঈদ উপলক্ষ্যে দিন কয়েক আগে বাপের বাড়ি থেকে বধূকে ডেকে নিয়ে এসেছিল শ্বশুরবাড়ির লোকজন। তারপরেই বৃহস্পতিবার গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিস অভিযুক্ত সাহিদুর রহমানের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে।
হরিরামপুর থানার আইসি সঞ্জীব বিশ্বাস বলেন, ওই ঘটনায় আমরা গৃহবধূর শ্বশুরকে গ্রেপ্তার করে গঙ্গারামপুর আদালতে তুলেছি। বিচারক তার ১৪ দিনের জেল হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। অভিযুক্ত স্বামী ঘটনার পর থেকে পলাতক। তার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছি। ছেলের বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় এখনও অবধি কোনও অভিযোগ আসেনি। গৃহবধূর মৃত্যুর ঘটনায় আমরা তদন্ত শুরু করেছি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।
মৃত গৃহবধূর শ্বশুরবাড়ির লোকজন অবশ্য খুনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে। শাশুড়ি মোস্তারিনা খাতুন বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে আমার পুত্রবধূর মৃত্যুর ঘটনা জানতে পারি। আমরা তার আগের রাতে একসঙ্গে খেয়েছি। সকালে বাড়ি থেকে একটু দূরে পুত্রবধূর ঝুলন্ত মৃতদেহ গ্রামবাসীরা দেখে আমাদের জানায়। আমরা পুলিস ও মেয়ের বাড়িতে খবর দিই। তারপর আমাদের বাড়িতে মেয়ের বাড়ির লোকেরা এসে হামলা করে। তারা আমাদের এমনভাবে মারধর করছিল যে তখন ওদের ভয়ে আমরা বলেছি যে আমরা বৌমাকে মেরেছি। কিন্তু আমরা মারিনি। কী কারণে পুত্রবধূ এমন করল, জানি না।
মৃত গৃহবধূর বাবা আসগর আলি বলেন, আমার ছোট মেয়েকে তার শ্বশুরবাড়ির লোক পরিকল্পনা করে খুন করেছে। জামাইয়ের পরকীয়া সম্পর্ক জানাজানি হতেই মেয়ে আর সেখানে থাকবে না বলেছিল। মেয়ে আমাদের বাড়ি চলে আসে। ঈদের সময় আমার মেয়েকে ওরা নিয়ে যায়। শুনেছি দেনাপাওনা নিয়েও চাপ দিয়েছিল। তারপরেই আমার মেয়েকে ওরা খুন করেছে। আমি থানায় অভিযোগ করেছি। জামাইয়ের পরকীয়া প্রেমের কথা জানতে পারার জন্যই মেয়েকে খুন করা হয়েছে।