দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
বৃহস্পতিবার রাতে মালদহে নতুন করে ১১ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। ইংলিশবাজার, কালিয়াচক-১, চাঁচল-১, হরিশ্চন্দ্রপুর-১ ব্লক এলাকায় নতুন নতুন গ্রামে করোনা আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে। একেবারে গায়ের কাছে সাট্টারি, বিনোদপুর গ্রামে করোনা ভাইরাস হানা দেওয়ায় ইংলিশবাজার শহরের বাসিন্দারাও আতঙ্কে রয়েছেন। আক্রান্তরা অবশ্য সকলেই পরিযায়ী শ্রমিক বলে প্রশাসন জানিয়েছে।
জেলা প্রশাসনের এক শীর্ষ আধিকারিক বলেন, কোভিড হাসপাতালে এক সপ্তাহ ডিউটির পর নার্সদের সাত দিন মালদহের যুব আবাসে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। করোনা পরীক্ষা করানোর পর ফের তাঁদের ডিউটিতে পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার রাতে এমনই একজন নার্সের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। তাঁকে কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অবশ্য আক্রান্তের শরীরে কোনও উপসর্গ ছিল না।
সংখ্যাতত্ত্বের বিচারে করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের হিসেবে গৌড়বঙ্গের মধ্যে মালদহের পরই স্থান পেয়েছে উত্তর দিনাজপুর জেলা। শুক্রবার মালদহ মেডিক্যাল কলেজ এবং উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের ভাইরোলজি বিভাগ থেকে পাওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী উত্তর দিনাজপুর জেলায় নতুন করে আরও ৩৮ জন করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। তাঁরা প্রত্যেকেই পরিযায়ী শ্রমিক। ওই ৩৮ জনের মধ্যে ৩১ জন রায়গঞ্জ মহকুমার বাসিন্দা। বাকি সাতজন ইসলামপুর মহকুমার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। বুধবার রাত অবধিও আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৯৭। এই নিয়ে জেলায় আক্রান্তদের সংখ্যা বেড়ে হল ১৩৫।
অন্যদিকে, করোনা ভাইরাসকে পরাস্ত করে হাসিমুখে বাড়ি ফিরল উত্তর দিনাজপুর জেলার ইটাহারের বাসিন্দা এক চার বছরের শিশু। গত ২৩ মে থেকে সে রায়গঞ্জের কোভিড হাসপাতালে ভর্তি ছিল। তাকে দেখাশোনার জন্য তার মাও হাসপাতালে ছিলেন। যদিও শিশুটির মা করোনা আক্রান্ত নন। আক্রান্ত শিশুটিকে এদিন দুপুরে হাসপাতাল থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। শিশুটি সুস্থ হয়েছে তা জানতে পেরে উচ্ছ্বসিত হাসপাতালে চিকিৎসক থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যকর্মীরা। এদিন ফুল ছিটিয়ে ওই শিশুটিকে শুভেচ্ছা জানান স্বাস্থ্যকর্মী এবং চিকিৎসকেরা।
হাসপাতাল থেকে ছুটি পাওয়ার পর শিশুটির মা বলেন, আমার ছেলের রিপোর্ট করোনা পজিটিভ এসেছিল। তবে এদিন সম্পূর্ণ সুস্থ বলে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। করোনা থেকে ভয় পাওয়ার কিছুই নেই। শুধুমাত্র পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থেকে বিভিন্ন নিয়ম বিধি মানলেই এই ভাইরাস থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। সকলকে বলব, যাঁরা করোনা আক্রান্ত রয়েছেন, তাঁদের দূরে সরিয়ে না রেখে সহযোগিতা করুন।
রায়গঞ্জ কোভিড হাসপাতালে চিকিৎসক দিলীপকুমার গুপ্ত বলেন, দিল্লি থেকে ফিরে শিশুটি আক্রান্ত হলেও তার বাবা-মা সংক্রামিত হননি। করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য কিছু নিয়ম বিধি মানুষকে মানতেই হবে।