দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
নীহারবাবু বলেন, স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার জন্য প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে একটি করে থার্মাল গান দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও শহরের চারটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রের জন্য একটি করে যন্ত্র বরাদ্দ করা হয়েছে। এদিন মোট ৩৩ টি থার্মাল গান স্বাস্থ্যকর্মীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। থার্মাল গান নিয়ে বিভিন্ন ওয়ার্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রতিটি নাগরিকের শরীরে তাপমাত্রা পরীক্ষা করবেন। কোনও পরিবারের সদস্যর উচ্চ তাপমাত্রা থাকলে সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্যকর্মী আমাদের স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। আমরা জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি জানাব। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির করোনা পরীক্ষা করবে। তবে এক্ষেত্রে বিষয়টি গোপন থাকবে। এলাকায় যাতে আতঙ্ক না ছড়ায় বা সংশ্লিষ্ট পরিবারকে কেউ যাতে অন্যচোখে না দেখে, তারজন্য এই উদ্যোগ। বিভিন্ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে কোন কোন ডাক্তার কোন কোন দিন বসেন এবং কোভিড-১৯ মোকাবিলায় পুরসভার তরফে যে হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে তা লিফলেটে ছাপিয়ে শহরের বাসিন্দাদের মধ্যে বিলি করা হবে।
দুলালবাবু বলেন, এখনও পর্যন্ত ইংলিশবাজার শহরে কারও শরীরে করোনা ভাইরাস ধরা পড়েনি। তবে এনিয়ে আত্মতুষ্টির কোনও জায়গা নেই। শহরের চারপাশে একাধিক গ্রামে ওই ভাইরাসের উপস্থিতি টের পাওয়া গিয়েছে। ফলে শহরবাসীকে সতর্ক এবং সচেতন হতে হবে। সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী সবধরনের বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে। এর অন্যথা হলে ভাইরাসের থাবা থেকে রক্ষা পাওয়া মুশকিল হবে।
উল্লেখ্য, উত্তরবঙ্গের মধ্যে মালদহে সবচেয়ে বেশি করোনা রোগীর সন্ধান মিলেছে। গত এক মাসে জেলার ১৩৯ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস পাওয়া গিয়েছে। প্রথম দিকে সপ্তাহে দুই থেকে তিনজন করে আক্রান্ত হচ্ছিলেন। বর্তমানে প্রায় প্রতিদিনই ১০-২০ জনের শরীরে মারণ ভাইরাসের হদিশ মিলছে।