পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুকুমার দে বলেন, আমাদের জেলা থেকে পাঠানো কয়েক হাজার সোয়াবের রিপোর্ট এখনও আমাদের হাতে আসেনি। শুনেছি মালদহে প্রচুর নমুনা জমা হয়েছে। তারা প্রায় ২০০০ সোয়াবের নমুনা মুর্শিদাবাদ মেডিক্যালে পাঠিয়েছে। তার মধ্যে আমাদের জেলার ১০০০টি নমুনাও রয়েছে। আগামী সোমবার থেকে আবার আমরা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট পেতে থাকব, এমন আশা করছি আমরা। নতুন করে আর সমস্যা হবে না। আপাতত অল্প অল্প করে বালুরঘাট হাসপাতালে ট্রু ন্যাট মেশিনেই আমরা পরীক্ষার কাজ চালাচ্ছি।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা সপ্তাহ কয়েক আগেও গ্রিন জোনের তালিকাতেই ছিল। তবে বাইরের রাজ্য থেকে পরিযায়ী শ্রমিকরা আসা শুরু করতেই জেলায় একের পর এক করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলতে শুরু করে। শ্রমিকদের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ার ফলে সোয়াব সংগ্রহের উপরও জোর দেয় প্রশাসন। আরও বেশি বেশি করে শ্রমিকদের সোয়াবের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো শুরু হয়। প্রথম দিকে জেলায় নমুনা পরীক্ষার কোনও ব্যবস্থাই ছিল না। তাই সব নমুনাই পাঠানো হচ্ছিল মালদহ মেডিক্যালে। পরে চাপ বাড়তে থাকায় বালুরঘাট হাকসপাতালে একটি ট্রু ন্যাট মেশিন বসানো হয়। সেই মেশিনে জেলাতেই কিছু কিছু নমুনার প্রাথমিক পরীক্ষা করা সম্ভব হয়। সেইসঙ্গে গঙ্গারামপুর হাসপাতালেও একটি ট্রু ন্যাট মেশিন বসানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। তবে এই যন্ত্রের সাহায্যে চূড়ান্ত রিপোর্ট পাওয়া যায় না। সেজন্য আবার নির্ভর করতে হয় ভিআরডিএল-এর উপরই। তাই ট্রু ন্যাট মেশিনে প্রাথমিকভাবে কারও রিপোর্ট পজিটিভ এলে তা পাঠানো হচ্ছে মেডিক্যাল কলেজে। এদিকে বাড়ি ফেরা শ্রমিকের সংখ্যা বাড়ায় সরকারি কোয়ারেন্টাইনে ভর্তির সংখ্যা বেড়েছে। সেই সংখ্যাটা ২৫০ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৫০ হয়েছে। হোম কোয়ারেন্টাইনের সংখ্যায় নয় হাজার ছড়িয়েছে।