কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
শুক্রবার দুপুরে পরপর দু’টি ট্রেন চেপে উত্তরপ্রদেশের দানকর স্টেশন থেকে রায়গঞ্জ স্টেশনে আসেন পরিযায়ী শ্রমিকদের দল। তারমধ্যে প্রথম ট্রেনটিতে জেলার বিভিন্ন ব্লকের ৭০ জন পরিযায়ী শ্রমিকের আসার কথা ছিল। কিন্তু ওই ট্রেনটিতে চেপে রায়গঞ্জে এসে পৌঁছন রায়গঞ্জ ব্লকের বাহিন গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মাত্র ১১ জন বাসিন্দা। তাঁদের মধ্যে আবার তিনজন শিশু। বাকি আট জন উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন এলাকায় শ্রমিকের কাজ করতেন। সেই ট্রেনে আরও যেসব শ্রমিকদের আসার কথা ছিল, তাঁদের কোনও হদিশ নেই। তবে দ্বিতীয় ট্রেনটিতে আগাম তথ্য অনুযায়ী জেলার বিভিন্ন ব্লকের ৮৭ জন পরিযায়ী শ্রমিকই রায়গঞ্জে ফিরেছেন। প্রশাসনের দাবি, প্রথম ট্রেনটিতে চেপে বাকি যে ৫৯ জনের এদিন রায়গঞ্জে আসার কথা ছিল, তাঁরা সকলেই উত্তরপ্রদেশে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করতেন। তাঁরা কেউ রায়গঞ্জে নামেননি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শ্রমদপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, শ্রমিক স্পেশাল যে প্রথম ট্রেনটি রায়গঞ্জ স্টেশনে আসার কথা ছিল তাতে মাত্র ১১ জন স্টেশনে পৌঁছেছেন। বাকিরা কোথায় গিয়েছেন সে সম্পর্কে কিছুই জানাতে পারব না। আমরা সেই শ্রমিকদের নাগাল পাওয়ার চেষ্টা করছি।
এদিকে গোয়ালপোখরের ৩৫ জন পড়ুয়া উত্তরপ্রদেশ থেকে বাড়ি ফিরল শুক্রবার সকালে। এদিন একটি শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন আসে ইসলামপুরের আলুয়াবাড়ি রেল স্টেশনে। ওই ট্রেনেই পড়ুয়ারাও এসে পৌঁছয়। ইসলামপুর পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা তাদের স্ক্রিনিং করেন। পুরসভার প্রশাসক কানাইয়ালাল আগরওয়াল সেখানে উপস্থিত ছিলেন। পড়ুয়াদের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছিল।