দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
জলপাইগুড়ির ঘটনায় পুলিস একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। ধৃতের নাম মহম্মদ সাহিদুল হক। তার বাড়ি অসমের ধুবরি জেলার গোলকগঞ্জ থানার ছাগুলিয়ায়। ওই ব্যক্তিই ট্রাকের চালক ও মালিকও। পাশাপাশি নিশিগঞ্জের ঘটনায় পুলিস দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিস জানিয়েছে, ধৃতদের নাম মাধব রায় ও সারভান কুমার। দু’জনেরই বাড়ি বিহারে। জলপাইগুড়িতে ধরা পড়া গাঁজা বিহারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। নিশিগঞ্জের গাঁজা কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল পুলিস তা খতিয়ে দেখছে।
মাথাভাঙার অতিরিক্ত পুলিস সুপার ইন্দ্রজিৎ সরকার বলেন, নিশিগঞ্জে একটি লরি থেকে ১০৩ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে। ধৃতরা এর আগেও গাঁজা পাচার করেছিল কি না জানার চেষ্টা চলছে।
লকডাউনের মধ্যে জলপাইগুড়ির তিস্তা ব্রিজ সংলগ্ন এলাকা থেকে একের পর গাঁজা ধরা পড়ায় চাঞ্চল্য ছড়াচ্ছে। প্রায় সব ক্ষেত্রেই গাঁজাগুলি কোচবিহারের মাথাভাঙা ও দিনহাটা এলাকা থেকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার পুলিসের দাবি। প্রায়ই এত বিপুল পরিমাণ গাঁজা বিভিন্ন থানার নাকা চেকিং ফাঁকি দিয়ে কীভাবে কোচবিহার থেকে জলপাইগুড়ি পর্যন্ত পৌঁছে যাচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। লকডাউনকে কাজে লাগিয়েই কি সব্জির গাড়িকে হাতিয়ার করে এই গাঁজা পাচার করা হচ্ছে? তা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে।
এর আগে তিস্তা সেতু সংলগ্ন এলাকা থেকে পুলিস যে পরিমাণ গাঁজা উদ্ধার করেছিল তার আনুমানিক পরিমাণ প্রায় ৬৫০ কেজি। ওই সব ক্ষেত্রে পুলিস গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গাঁজা উদ্ধার করেছিল। এদিনও গোপন সূত্রে খবর পেয়ে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার পুলিস ওই এলাকায় আগে থেকেই অপেক্ষা করছিল। এরপর একটি ট্রাকে তল্লাশি চালিয়ে গাঁজার প্যাকেটগুলি উদ্ধার করে।
দিন কয়েক আগেই তিস্তা ব্রিজ সংলগ্ন পাহাড়পুর এলাকা থেকে ২৫০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেছিল পুলিস। ওই গাঁজা কোচবিহারের দিনহাটা রোড এলাকা থেকে নিয়ে আসা হয়েছিল বলে তদন্তকারী অফিসারদের দাবি। ওই সময়েই পরপর চারদিন ওই এলাকা থেকে যে গাঁজা উদ্ধার হয়েছিল সেই গাঁজাগুলিও কোচবিহারের মাথাভাঙা, দিনহাটা ও জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ি থেকে আসছিল।