গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
বৃহস্পতিবার পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামগুলি পরিদর্শন করেন। পরে তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ত্রাণ বিলি শুরু হয়েছে। প্রশাসনের আধিকারিকরা বলেন, পরিস্থিতি মোকাবিলা করার কাজ চলছে।
ঝড়ের তাণ্ডবের দু’দিনের মধ্যে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিয়ে প্রাথমিক রিপোর্ট প্রস্তুত করল খড়িবাড়ি ও ফাঁসিদেওয়া ব্লক প্রশাসন। তারা এদিন ওই রিপোর্ট জেলা বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা দপ্তরের কাছে পাঠিয়েছে। প্রশাসন সূত্রের খবর, ঝড়ের দাপটে সংশ্লিষ্ট দু’টি ব্লকের ১০টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ১২২২টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরমধ্যে খড়িবাড়ি ব্লকের চারটি গ্রাম পঞ্চায়েতে সম্পূর্ণভাবে ১০০টি এবং আংশিকভাবে ৬৫০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফাঁসিদেওয়া ব্লকের ছ’টি গ্রাম পঞ্চায়েতে সম্পূর্ণভাবে ২২টি এবং আংশিকভাবে ৪৫০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রাথমিক হিসেব অনুসারে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে দেড় কোটি টাকার বেশি। এরবাইরে রাস্তা, ড্রেন, বিদ্যুৎ প্রভৃতি ক্ষেত্রে আরও দেড় কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এখন পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় তিন কোটি টাকা। কৃষি, উদ্যানপালন, প্রাণিসম্পদ সহ অন্যান্য দপ্তরের রিপোর্ট পাওয়ার পরও ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে বলেই মনে হচ্ছে।
খড়িবাড়ির বিডিও যোগেশচন্দ্র মণ্ডল ও ফাঁসিদেওয়ার বিডিও সঞ্জু গুহ মজুমদার বলেন, ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতির ওই প্রাথমিক হিসেব জেলা প্রশাসনের কাছে পাঠানো হয়েছে। এখন যা পদক্ষেপ নেওয়ার জেলা প্রশাসন নেবে। তবে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামগুলিতে পুনর্গঠনের কাজ শুরু হয়েছে। মহকুমা শাসক সুমন্ত সহায় বলেন, পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে ব্লক প্রশাসন ঝাঁপিয়ে পড়েছে। পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে।
মঙ্গলবার রাতে ঝড়ের তাণ্ডবে খড়িবাড়ি ব্লকে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি প্রচুর গাছ, বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়েছে। শুধু তাই নয়, এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে গৃহহীন হয়ে পড়েছেন প্রচুর গ্রামবাসী। স্থানীয় সূত্রের খবর, দু’টি ব্লকে এখন প্রায় ৩৬৬ জন তাবু খাঁড়িয়ে রাত কাটাচ্ছেন। ওই গ্রামবাসীদের একাংশের অভিযোগ, ত্রিপল ছাড়া ত্রাণ হিসেবে আর কিছুই মেলেনি। শুধু তাই নয়, এখনও অনেক গ্রামের বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক হয়নি। কিছু গ্রাম লো ভোল্টেজে জেরবার রয়েছে। খড়িবাড়ি ব্লকের বিন্নাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অঞ্জু ব্যাপারি বলেন, ত্রিপল দিলেও প্রশাসন ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে চাল বিলি করেনি। ফাঁসিদেওয়া পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি কর্মাধ্যক্ষ তৃণমূল কংগ্রেসের মহম্মদ জালালউদ্দিন বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ত্রাণ হিসেবে চাল বিলি করা হবে। এ ব্যাপারে প্রশাসনের সঙ্গে কথা হয়েছে।
খড়িবাড়ি ও ফাঁসিদেওয়া ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকরা বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের নামের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। শীঘ্রই তাঁরা ত্রাণ হিসেবে চাল পাবেন। পাশাপাশি সিভিল ডিফেন্সের ভলান্টিয়াররা পড়ে যাওয়া গাছ কেটে রাস্তা পরিষ্কার করেছেন। বিদ্যুৎ পরিষেবাও স্বাভাবিক করে তোলার কাজ চলছে। ফাঁসিদেওয়ায় দু’টি ক্ষতিগ্রস্ত ট্রান্সফারমার পরিবর্তন করা হচ্ছে।