বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
কোভিড মোকাবিলায় উত্তরবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক ডাঃ সুশান্ত রায় বলেন, আক্রান্ত ওই ছাত্রী এবং আশাকর্মীকে কোভিড হাসপাতালে আনা হয়েছে। আশাকর্মী কার সংস্পর্শে এসেছিল তা নিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। চলতি সপ্তহেই তাঁদের সোয়াব সংগ্রহ করে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছিল। এদিন দু’জনের রিপোর্ট পজিটিভ আসে।
এদিকে করোনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই বিভিন্ন এলাকায় দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। যে মহিলার করোনা পজিটিভ এসেছে তাঁর বাড়ির সামনে বাঁশ দিয়ে বাসিন্দারা আটকে দেন। এদিকে ময়নাগুড়িতে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার ঘিরে সমস্যা এখনও রয়েছে। প্রতিনিয়ত পরিযায়ী শ্রমিকরা আসছেন। অন্যদিকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারগুলি ভর্তি হয়ে আছে। যা রীতিমতো ব্লক প্রশাসনকে ভাবাচ্ছে। বাধ্য হয়ে প্রশাসন নতুন করে আসা শ্রমিকদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দিচ্ছে। কিন্তু অনেকেই সেই নির্দেশ মানছেন না বলে অভিযোগ উঠছে।
ময়নাগুড়ির বিডিও ফিন্টোশ শেরপা বলেন, আমাদের ব্লকে সরকারিভাবে তিনটি কোয়ারেন্টাইন সেন্টার আছে। এরমধ্যে বিএড কলেজে ৬৯ জন, নীলকান্ত পাল হাইস্কুলে ১০৩ জন এবং আমগুড়িতে ১০৪ জন আছেন। প্রতিনিয়ত পরিযায়ী শ্রমিক আসছে। আমাদের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারগুলিতে থাকার আর জায়গা নেই। তাই আরও কোয়ারেন্টাইন সেন্টার গড়ার জয়গা খোঁজা হচ্ছে।
ময়নাগুড়ি ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ লাকি দেওয়ান বলেন, হোম কোয়ারেন্টাইন ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। যাঁদের বাড়িতে থাকতে বলা হচ্ছে তাঁদের ১৪ দিন ঘরে থাকতেই হবে। নইলে প্রশাসন উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে। আশা কর্মীরাই তাঁদের স্বাস্থ্যের সম্পর্কে নিয়মিত খোঁজখবর নেবেন।
এদিকে বৃহস্পতিবার জোরপাকড়ি দাসপাড়ার এক ব্যক্তিকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানোর দাবি ঘিরে স্থানীয়দের সঙ্গে ওই বাড়ির লোক বচসার জড়িয়ে যায়। ওই ঘটনায় জোরপাকড়ির আটজনের বিরুদ্ধে এক মহিলাকে লাঠি দিয়ে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ থানায় জমা পড়ে। ময়নাগুড়ি থানার আইসি অসীম গোপ বলেন, নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।