পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
শিলিগুড়ি শহরে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের পরিকাঠামো চাঙ্গা করা হয়নি। পুরসভা সূত্রের খবর, দীর্ঘদিন ধরে পুরসভার মেডিক্যাল অফিসারের পদ শূন্য রয়েছে। শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের মেডিক্যাল অফিসার অতিরিক্ত ওই পদের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। এছাড়াও পতঙ্গবিদ এবং স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলিয়ে ১০টি চিকিৎসকের পদও ফাঁকা পড়ে আছে। এ নিয়ে পুরকর্তৃপক্ষ ক্ষুব্ধ। তাদের অভিযোগ, এ ব্যাপারে রাজ্য সরকারের কাছে একাধিকবার দাবি জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। যারফলে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলা স্বাস্থ্য বিভাগ নিয়ে কোভিড বিপর্যয়ের মোকাবিলা করতে হচ্ছে।
বুধবার পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান অশোক ভট্টাচার্য বলেন, পুরসভায় আরও একজন চিকিৎসক দরকার। এ বিষয়ে রাজ্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছি। পাশাপাশি করোনার সোয়াব টেস্ট সেন্টার শিলিগুড়ি সহ উত্তরবঙ্গে আরও বাড়ানো প্রয়োজন। এ ব্যাপারে পরিকাঠামো খতিয়ে দেখে বেসরকারি ল্যাবরেটরিগুলিকে কাজে লাগানো যেতে পারে। আমি রাজ্য সরকারের কাছে এ নিয়ে প্রস্তাব পাঠাচ্ছি। কারণ প্রচুর মানুষের সোয়াবের নমুনা এখনও টেস্ট হয়নি। টেস্ট বাড়লে চিকিৎসা বাড়বে বলেই আশা করছি।
প্রসঙ্গত, শিলিগুড়ি শহর ও গ্রামীণ এলাকা সহ দার্জিলিং জেলায় এখনও পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ জন। সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙতে শহরের ৬ ও ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে কন্টেইনমেন্ট জোন রয়েছে। এদিন ভিডিও কনফারেন্সে সংশ্লিষ্ট জোনগুলির অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি কনফারেন্সে বলেন, শিলিগুড়ির সীমান্তে নেপাল, বাংলাদেশ ও ভুটান রয়েছে। এখানে বিভিন্ন এলাকায় মানুষের মধ্যে মিশ্রণ হয়ে যাচ্ছে। তাই কন্টেইনমেন্ট জোনের উপর কড়া নজরদারি চালানোর জন্য পুরসভার প্রশাসককে অনুরোধ করছি। পুরসভার প্রশাসকের কাছে এই বার্তা ডিএম’কে পৌঁছে দিতে বলছি।
অন্যদিকে, এদিন শহরের কন্টেইনমেন্ট জোন ১ নম্বর ওয়ার্ডের ধরমনগরে যান প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান। তাঁর সঙ্গে বোর্ডের সদস্য শঙ্কর ঘোষ, সিপিএম নেত্রী স্নিগ্ধা হাজরা ছিলেন। তাঁরা এলাকাবাসীদের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিলি করেন। এরপর তাঁরা আরএকটি কন্টেইনমেন্ট জোন ৬ নম্বর ওয়ার্ডে গিয়ে করোনাযুদ্ধে জয়ী ফল ব্যবসায়ীকে সংবর্ধনা দেন। পরে প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, করোনা মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের কাছ থেকে এখনও কোনও অর্থ পাইনি। নিজস্ব তহবিল এবং সংগৃহীত ত্রাণ তহবিলের অর্থে কোভিড পরিস্থিতির মোকাবিলা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে কয়েকটি জীবাণুনাশক স্প্রে মেশিন কেনা হয়েছে। আরও ১০টি স্প্রে মেশিন এবং ১০ হাজার মাস্ক, গ্লাভস, গামবুট কেনা হবে। রাজ্য সরকারে কাছে কোভিড মোকাবিলায় অর্থ এবং বিগত বোর্ডের অনুমোদিত প্রকল্পের অর্থ চাওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে রাজ্য সরকারের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বস্তি এলাকায় করোনা থাবা বসিয়েছে। এটা উদ্বেগের বিষয়। পরিযায়ী শ্রমিকরা এখানে আসার পর বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ছেন বলে অভিযোগ পাচ্ছি। এতে কিছু এলাকায় গোলমালও হচ্ছে। তাই রেলস্টেশন ও বাসস্ট্যান্ডে স্ক্রিনিং গুরুত্ব দিয়ে করা, কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের সংখ্যা বাড়ানো, হোটেলে চালু করা কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে বিনামূল্যে গরিবদের থাকার ব্যবস্থা করা, বিভিন্ন দপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় বাড়ানোর দাবি রাজ্য সরকারের কাছে জানানো হবে।