বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
বুধবার মালদহ থেকে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের আসেন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলা প্রশাসনের সঙ্গে রিভিউ মিটিং করেন। মন্ত্রী বলেন, ইতিমধ্যে উত্তর দিনাজপুর জেলার সাত হাজার মানুষ ঝড়ের কারণে নানান ধরনের ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছেন। পুরো বিষয়টি যাচাই করে বিস্তারিত রিপোর্ট নবান্নে পাঠানোর জন্য জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন বনমন্ত্রী।
পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, উম-পুনের জেরে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় সবুজায়নের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সবুজশ্রী প্রকল্পের পাশাপাশি রাজ্যজুড়ে চার কোটি গাছ লাগানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। এই বিষয়ে সচেতনতা মূলক প্রচার করার জন্য স্কুল, সরকারি দপ্তর, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সহ একাধিক সংগঠনকে আমরা কাজে লাগাব।
রায়গঞ্জের পরে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে বৈঠক করে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন মন্ত্রী। এখানে তিনি বলেন, মঙ্গলবার রাতেও বৃষ্টিপাত হয়েছে, গত কয়েকদিনে বৃষ্টির পরিমাণ প্রায় ৩০০ মিলিমিটার ছাড়িয়ে গিয়েছে। সব মিলিয়ে ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে তাড়াহুড়ো করে রিপোর্ট না তৈরি করে ভালো করে রিপোর্ট বানানো হোক। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় এর আগে কালবৈশাখী ঝড়ে বহু বাড়ি ঘর নষ্ট হয়েছে। তাই সব মিলিয়ে ভালো করে রিপোর্ট তৈরি করে যাতে নবান্নে পাঠানো হয় সেই বিষয়ে আমি জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছি। এখন প্রাথমিক রিপোর্ট মুখ্যমন্ত্রীর হাতে তুলে দেব। তিনি যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার নেবেন।
সূত্রের খবর, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় কৃষিকাজে সব মিলিয়ে প্রায় ৩৫ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও বাড়িঘরের যা ক্ষতি হয়েছে তাও কোটি টাকার উপরে। যদিও মোট ক্ষতির হিসেব নিয়ে প্রশাসন মুখ খুলতে চায়নি।