কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
উল্লেখ্য, লকডাউনের মাঝে দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় করোনা ছড়িয়ে পড়লেও গৌড়বঙ্গে ভাইরাসের প্রকোপ তেমন দেখা যায়নি। ওই সময় গৌড়বঙ্গের তিন জেলা গ্রিন জোনের আওতায় ছিল। গৌড়বঙ্গের জেলাগুলির মধ্যে মালদহে প্রথম করোনা ভাইরাস আক্রান্তের সন্ধান মেলে। গত ২৬ এপ্রিল এজেলার মানিকচকের বাসিন্দা এক পরিযায়ী শ্রমিক প্রথম করোনায় আক্রান্ত হন। ওইসময় গৌড়বঙ্গের অন্য দুই জেলা উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর গ্রিন জোনে ছিল। পরবর্তীকালে উত্তর দিনাজপুরে করোনা ভাইরাস হানা দেয়। তখনও দক্ষিণ দিনাজপুর অবশ্য করোনামুক্ত ছিল। কিন্তু সেখানেও পরে রোগীর হদিশ মেলে। ফলে মালদহের পর ওই দুই জেলাও গ্রিন জোনের তকমা হারায়। দক্ষিণ দিনাজপুরে রোগীর সংখ্যা কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকলেও মালদহ এবং উত্তর দিনাজপুরে আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। ওই দুই জেলায় দু-তিনদিন পর পরই ২০-৩০ জন করে মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন। এক্ষেত্রে মালদহের গ্রাফ বেশি উর্দ্ধমুখী। মালদহের দেখানো পথ ধরছে উত্তর দিনাজপুর। অবশ্য দুই জেলাতেই এখনও পর্যন্ত পরিযায়ী শ্রমিকরাই আক্রান্ত হয়েছেন বলে স্বাস্থ্য দপ্তর জানিয়েছে। মালদহের আক্রান্ত তিনজনের বাড়ি কালিয়াচক-৩ ব্লকে। মালদহের যেসব ব্লকের বেশি রোগীর সন্ধান মিলছে, কালিয়াচক-৩ তার মধ্যে অন্যতম। ফলে বিষয়টি জেলা প্রশাসনের কর্তাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে। উদ্ভুত পরিস্থিতি কীভাবে সামাল দেওয়া যাবে তা নিয়ে প্রশাসন এবং স্বাস্থ্য দপ্তর চিন্তিত।
গত মঙ্গলবার রাতে মালদহ মেডিকেল কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে উত্তর দিনাজপুর জেলায় আরও ২৮ জনের মধ্যে করোনা সংক্রমণের খোঁজ মিলেছে। উত্তর দিনাজপুর জেলা থেকে যে লালারসের নমুনা মালদহ মেডিক্যালে পাঠানো হয়েছিল সেগুলির মধ্যে এই ২৮ জন ছাড়া আরও একজন বিহারের বাসিন্দার দেহেও করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া গিয়েছে। তাঁর নমুনা উত্তর দিনাজপুর থেকে সংগ্রহ করা হয়েছিল। তাঁকে বিহার প্রশাসনের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁরা প্রত্যেকেই পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে ভিন রাজ্যে কাজ করতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফেরার পর উত্তর দিনাজপুর জেলা প্রশাসন তাঁদের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করতে মালদহ মেডিকেল কলেজের ভাইরোলজি বিভাগে পাঠিয়েছিল। সেখান থেকেই প্রাপ্ত রিপোর্ট অনুযায়ী এই ২৮ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে জেলায় করনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ৮৩।
উত্তর দিনাজপুর জেলার স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, নতুন করে আক্রান্তদের তালিকায় রায়গঞ্জ ব্লকের দু’জন, করণদিঘি ব্লকের ২৫ জন এবং ইটাহার ব্লকের একজন বাসিন্দা রয়েছেন। এছাড়া পার্শ্ববর্তী রাজ্য বিহারের বাসিন্দা একজনের দেহে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া গিয়েছে। তাঁর নমুনা রায়গঞ্জ থেকেই সংগ্রহ করা হয়েছিল। তাঁরা প্রত্যেকেই ভিনরাজ্য থেকে সম্প্রতি জেলায় ফিরে এসেছেন। তাঁদের চিকিৎসা শুরু হয়েছে। যদিও এপ্রসঙ্গে জেলা প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকরা কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি।