রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
এদিন প্রচুর মানুষ রায়গঞ্জ শহরের রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন। যদিও সাধারণ মানুষের অভিযোগ, অনেক ক্ষেত্রেই সামাজিক দূরত্ব মানা হচ্ছে না। প্রসঙ্গত, এদিনই উত্তর দিনাজপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলায় নতুন করে ২৯ জনের করোনা পজিটিভের খোঁজ মেলার কথা জানানো হয়েছে। ফলে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে জেলার বাসিন্দাদের মধ্যে।
এদিকে মঙ্গলবার রাতে ইটাহার ব্লকের ইটাহার, চাভোট, পতিরাজপুর, সাহাপাড়া, শ্রীপুর, কামারপুর প্রভৃতি এলাকায় ঝড়ের দাপটে শতাধিক বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ইটাহার ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্লকের প্রায় ১১০টি কাঁচা বাড়ি ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে। বুধবার সকাল থেকেই ক্ষতিগ্রস্থদের বাড়িতে ত্রিপল দেওয়া শুরু হয়।
ইটাহার সদর এলাকায় ইটাহার-চাঁচল রাজ্য সড়কের ওপর একটি পুলিসের সিসিটিভির টাওয়ার ভেঙে পড়ে দমকা হাওয়ার দাপটে। একাধিক বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে পড়ে। রাস্তার উপরে লাইনের তার ছিঁড়ে পড়ে থাকায় আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েন এলাকার মানুষ। সেই রাতেই ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে যান স্থানীয় বিধায়ক অমল আচার্য। পুলিস প্রশাসনের সহযোগিতায় রাতেই রাজ্য সড়কের ওপর থেকে ভেঙে পড়া সেই টাওয়ার সরানোর ব্যবস্থা করা হয়। ইটাহারের বিডিও আবুল আলম মামুদ আনসারি বলেন, ব্যাপক ঝড়-বৃষ্টির দাপটে প্রায় ১০০ টি বাড়ি ক্ষতির মুখে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের ব্লক প্রশাসনের তরফ থেকে ত্রিপল দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। অন্যদিকে, ফসলের ক্ষয়ক্ষতি সরেজমিনে পরিদর্শনের জন্য ব্লক কৃষি দপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, কালিয়াগঞ্জ ব্লকের মুস্তাফানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের রায়পুর, ভিহারা, মধ্য কুনোর এলাকায় ঝড়বৃষ্টির দাপট ক্ষতির মুখে পড়ে প্রায় ৫০ টি পরিবার। এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। বৈদ্যুতিক খুঁটি ও বহু গাছপালা ভেঙে পড়ে ঝড়ের দাপটে। স্থানীয় ভুঁইহারা গ্রামে এক আদিবাসীর বাড়িতে ঝড়ের দাপটে একটি গাছ পড়ে গেলে এক মহিলা জখম হন। তাঁর চিকিৎসা চলছে কালিয়াগঞ্জ হাসপাতালে। বুধবার ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে যান কালিয়াগঞ্জ ব্লকের জয়েন্ট বিডিও পরিমল দাস সহ অন্যান্যরা। তিনি বলেন, পরিদর্শন করে বিস্তারিত রিপোর্ট জেলায় পাঠানো হবে।
এদিকে মঙ্গলবার রাতেই মালদহ জেলার মানিকচক ব্লকের উপর দিয়ে এক দমকা ঝড় বয়ে যায়। ফলে আম গাছ এবং বেশ কিছু কাঁচা বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মথুরাপুর বিএসএস হাই স্কুলের সামনে থাকা আমগাছটি বিদ্যুতের তারের উপর পড়ে যাওয়ায় তার ছিড়ে যায় এবং খুঁটি উপড়ে যায়। এর ফলে বিপর্যস্ত হয় বিদ্যুৎ পরিষেবা। মানিকচক ব্লকের নাজিরপুর, কাকরিবাধা, পুরানী গ্রাম, নুরপুর, নাড়ি দিয়ারা সহ বিস্তীর্ণ অঞ্চলের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এদিন সকাল থেকে কাজ শুরু করেছেন বিদ্যুৎ দপ্তরের স্থানীয় কর্মীরা।