বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
মালদহ ব্যবসায়ী সমিতি সূত্রে জানা গিয়েছে, জামাইষষ্ঠীর সময় মহদিপুর ও ধুলিয়ান হয়ে পদ্মার ইলিশের আমদানি করা হতো জেলায়। লকডাউনের জেরে মহদিপুর দিয়ে সে মাছ এবার আসেনি। এবিষয়ে মালদহ ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক জয়ন্ত কুণ্ডু বলেন, এই মরসুমে বাংলাদেশ থেকে প্রচুর পরিমাণ পদ্মার ইলিশ মহদিপুর ও ধুলিয়ান হয়ে মালদহের বাজারে আসত। মালদহের বাজারে বেশ চাহিদাও রয়েছে ওপার বাংলার ইলিশের। তবে লকডাউনের জন্য এইবার মালদহে পদ্মার ইলিশের দেখা না মেলার সম্ভাবনাই বেশি। কারণ আমাদের মহদিপুর সীমান্ত দিয়ে এখনও আমদানি রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। এদিন রথবাড়ি বাজারে প্রায় এক কিলো ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হয়েছে ১৮০০ টাকায়। পুরাতন মালদহের শরৎচন্দ্র মিনি মার্কেটে একই মাছ ২০০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
মঙ্গলবাড়ির মাংস বিক্রেতা নুর ইসলাম বলেন, জামাইষষ্ঠীর জন্য পোল্ট্রির মুরগির মাংসের দাম বেড়ে গিয়েছে। আমরা বেশি দামে কিনেছি বলেই বেশি দামে বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছি। আবার দাম বেড়ে যাওয়ায় আগের চাইতে বিক্রিও কমে গিয়েছে। সদরঘাটের মাংস বিক্রেতা সুশান্ত মণ্ডল বলেন, পোল্ট্রির মাংসের দাম অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। আগে কম ছিল। তবে অন্যান্যবারের মতো জামাইষষ্ঠী উপলক্ষে জমজমাট বাজার এবার হচ্ছে না। আশা করছি বৃহস্পতিবার বাজারের হাল একটু ফিরবে।
ইংলিশবাজার শহরের মাছ বিক্রেতা হীরা মহলদার, রাজকুমার পীরেরা বলেন, জামাই ষষ্ঠীর জন্য ইলিশের কদর সব সময় থাকে। বাংলাদেশের বড় ইলিশ কিছু আনতে পেরেছি। কোলাঘাটের মাছও রয়েছে। আগের বছরের মতো ক্রেতা আসেনি।
ইলিশ মাছ কিনতে আসা ইংলিশবাজারের প্রহ্লাদ দত্ত বলেন, জামাই আমাদের বাড়ি এসে আটকে পড়েছে। লকডাউন থাকায় বাড়ি ফিরে যেতে পারেনি। জামাই ষষ্ঠীতে জামাইকে ইলিশ তো খাওয়াতেই হবে। সেজন্য বেশি দাম হলেও কিনলাম।
এদিকে জামাইষষ্ঠীতে বালুরঘাটের বাজারে দেখা নেই আমের। কিছু আম বাইরে থেকে আসলেও সেগুলির দাম অত্যন্ত বেশি। ১০০ টাকার নীচে কোনও আমই নেই। বালুরঘাটের বাজারে এদিন আমের দাম ছিল ৮০ থেকে ১০০ টাকা কিলো, কলার দাম জোড়া ১০ টাকা, আঙুর ১০০ টাকা কিলো, আপেল ২০০ টাকা কিলো, বেদানা ১২০ টাকা কিলো দরে বিক্রি হয়েছে। এছাড়াও বাজারে সব্জির দামও বৃদ্ধি পেয়েছে। আলু ২৫ টাকা কিলো, বেগুন ২০ টাকা, পটল ২৫ টাকা, করলা ২৫ টাকা কিলো দরে বিক্রি হয়েছে। প্রত্যেকটি সব্জির দামই পাঁচ থেকে ১০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়াও বাজারে খাসির মাংসের দর ছিল ৭০০ টাকা এবং কাটা মুরগির মাংসের দাম ছিল ২৫০ টাকা।
এবিষয়ে বালুরঘাট ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক হরেরাম সাহা বলেন, বাজারে কাঁচামালের আমদানি কম হচ্ছে। তাই সামান্য জিনিসের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। আম বাইরে থেকে সেভাবে এখনও আসছে না। তাই দামও বেশি।