গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
গত রবিবার শিলিগুড়ি মহকুমার নকশালবাড়ি ব্লকের একটি চা বাগান এলাকার এক গভর্বতী মহিলা উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রের খবর, সোমবার রাতে ওই মহিলার সোয়াব টেস্টে করোনা পজেটিভ হয়। তাঁর কোনও ট্রাভেল হিস্ট্রি নেই। এ নিয়ে দেড় মাসে শিলিগুড়ি মহকুমা সহ দার্জিলিং জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ জন। এই জেলায় একজনের মৃত্যুও হয়েছে।
বিভিন্ন মহলের বক্তব্য, বিভিন্ন সময় বস্তি, আবাসন ও শহরের অভিজাত এলাকার বাসিন্দারা করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের কারও ট্রাভেল হিস্ট্রি ছিল। আবার কেউ করোনা আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা করতে গিয়ে কিংবা পারিবারিক সূত্রে সংস্পর্শে এসেছিলেন। কিন্তু এই প্রথম চা বাগানের ওই মহিলা করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁর ভ্রমণের কোনও বৃত্তান্ত না থাকায় চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর থেকেই মনে হচ্ছে এখানে করোনা গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়েছে। ওএসডি বলেন, ওই মহিলা কীভাবে আক্রান্ত হলেন তা গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখছি। ইতিমধ্যে ওই এলাকায় স্বাস্থ্যদপ্তরের প্রতিনিধিরা গিয়েছেন। এরসঙ্গে গোষ্ঠী সংক্রমণের সম্পর্ক আছে কি না তা জানার চেষ্টা চলছে।
শুধু শিলিগুড়ি নয়, আমের শহর মালদহ এবং কুলিক নদীর পাড়ে অবস্থিত উত্তর দিনাজপুর জেলায় হু হু করে বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা। এদিন করোনা রোগীর হদিশ না মিললেও মাত্র একমাসের মধ্যে মালদহে আক্রান্ত হয়েছে ১২৪ জন। এদিন উত্তর দিনাজপুর জেলায় নতুন করে সাতজন আক্রান্ত হয়েছেন। মাত্র ১৭ দিনে সংশ্লিষ্ট জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৪ জন। সংশ্লিষ্ট দুই জেলায় আক্রান্তদের অধিকাংশই লকডাউনে কর্মচ্যুত হয়ে জেলাগুলিতে ফিরেছেন। দু’সপ্তাহে দক্ষিণ দিনাজপুরে আক্রান্ত হয়েছেন ছ’জন। ওএসডি বলেন, পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। জেলাগুলির উপর নজর রাখা হয়েছে।
অন্যদিকে, রাজার শহর কোচবিহার এতদিন পর্যন্ত করোনা মুক্ত ছিল। কিন্তু দু’দিন আগেই চিকিৎসার জন্য ভিনদেশ থেকে আসা দু’জনের দেহে মিলেছে করোনা। বন ও জঙ্গল ঘেরা জলপাইগুড়ি জেলায় এখনও পর্যন্ত সাতজন আক্রান্ত হয়েছেন। ডুয়ার্সের আলিপুরদুয়ার জেলায় পাঁচজন এবং কালিম্পং পাহাড়ে সাতজন আক্রান্ত হয়েছেন। কালিম্পং জেলায় একজনের মৃত্যুও হয়েছে। ওএসডি অবশ্য বলেন, সংশ্লিষ্ট জেলাগুলিতে আক্রান্তদের অনেকেই সুস্থ হয়ে গিয়েছেন। নতুন করে রোগী মেলেনি। এটা অনেকটাই স্বস্তিদায়ক।