গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
বিজেপি নেতা প্রকাশ রায় বলেন, যেভাবে এখন নদীর পাড় ভেঙে পড়ছে তাতে আগামী দিন মানিকচক পঞ্চায়েতের একাধিক গ্রাম জলের তলায় তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছি। সামান্য জলস্তর বাড়তেই এইভাবে ভাঙন শুরু হয়েছে। তবে আমরা দলীয়ভাবে এই বিষয়ে প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে বলব। এই মুহূর্তে যদি প্রশাসন ব্যবস্থা না নেয় তাহলে আগামীদিনে মানিকচকের বাসিন্দারা ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির সামনে পড়বেন।
যদিও ভাঙন রোধ প্রসঙ্গে কেন্দ্রের সরকারকেই নিশানা করেছে তৃণমূল। মালদহের সভাধিপতি তৃণমূল কংগ্রেসের গৌরচন্দ্র মন্ডল বলেন, ভুতনি থেকে ফরাক্কা ব্যারেজ পর্যন্ত ফরাক্কা ব্যারেজের অধীনে, এটি কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রাধীন। ইউপিএ আমলে বাঁধ দেওয়ার কাজ হলেও আর কোন কাজ এগোয়নি। তবে রাজ্য সরকার ইতিমধ্যে বেশকিছু জায়গাতে বাঁধ দেওয়ার কাজ শুরু করেছে। লকডাউনের মধ্যেই পরিস্থিতি বিবেচনা করে সুজাপুর ও দেবীপুরে কাজ চলছে। মথুরাপুর শঙ্খটোলা বাঁধ দেওয়ার কাজেও হাত দেওয়া হয়েছে। যেসব জায়গায় নতুন করে ভাঙন শুরু হয়েছে সেই জায়গা গুলো সম্পর্কে আমরা সেচ্ দপ্তরকে জানিয়েছি। সেচ দপ্তর বিষয়টি দেখছে। বাঁধ দেওয়ার কাজ নিয়ে সেচমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।
মানিকচক বিডিও সুরজিৎ পন্ডিতের সঙ্গে মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেন নি।
মানিকচকে নদী ভাঙ্গন সমস্যা দীর্ঘদিন ধরে । গত বর্ষার মরশুমে মানিকচক ভুতনি সংলগ্ন এলাকায় ভয়াবহ ভাঙন হয়। যদিও এখনও তেমন বর্ষা নেমে আসেনি। নদীতে অল্প জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় নদীর পাড় ভেঙে পড়ছে। তাতেই আতঙ্কের প্রহর গুনছেন বাসিন্দারা। মথুরাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শঙ্কটোলাতে পিএইচই-র জল সরবরাহের ব্যবস্থা রয়েছে। ইংলিশ বাজার থানার মিল্কি থেকে পলিটেকনিক কলেজ পর্যন্ত জল-সরবরাহ করে থাকে। মালদহে সবচেয়ে বড় পিএইচই ও গঙ্গার জলে বিলীন হয়ে যাওয়ার উপক্রম দেখা দিয়েছে।