পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ সুকুমার বসাক বলেন, সোয়াব পরীক্ষার জন্য ট্রু ম্যাট মেশিন এখানে এসেছে। কিছু টেকনিক্যাল বিষয় আটকে রয়েছে বলে এখনও সেই মেশিনে সোয়াব পরীক্ষা চালু করা যায়নি। আমরা কর্মীদের প্রশিক্ষণ পর্ব সেরে ফেলেছি। এটি চালু করার জন্য যা যা করার দরকার তা চেষ্টা করা হচ্ছে। সেটা হলেই ট্রু ম্যাট মেশিন চালু হয়ে যাবে।
মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, এটি একটি মলিকিউলার অ্যাডভান্স ল্যাবরেটরি। এখানে শুধুমাত্র যন্ত্রপাতি আসলে বা তা বসালেই হবে না। সেই যন্ত্রে সঠিকভাবে নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে কিনা সেই বিষয়টিও নির্দিষ্টভাবে পরীক্ষা করে দেখা হয়। পাশাপাশি যাঁরা পরীক্ষা করছেন তাঁদেরও সুরক্ষার দিকটি খতিয়ে দেখতে হয়। তার জন্য বায়োসেফটি ক্যাবিনেট বা বায়োসেফটি ল্যাবরেটরির পরিবেশ তৈরি করতে হয়। তারজন্য কিছু নির্দিষ্ট কাজ করতে হয়। এক্ষেত্রে বায়োসেফটি ক্যাবিনেট মেশিনও চলে এসেছে। কিন্তু তা চালু করার জন্য টেকনিশিয়ান এখনও না আসায় এটি চালু করা সম্ভব হচ্ছে না। ট্রু ম্যাট মেশিন আট ঘণ্টার শিফটে ১০ থেকে ১২টি নমুনা পরীক্ষা করতে পারে। মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ চাইছে, এটি চালু হলে জরুরি নমুনা পরীক্ষার ক্ষেত্রে এটিকে কাজে লাগানো হবে। তাহলে আর জরুরি রোগীর নমুনা উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে পাঠাতে হবে না। এখানেই সেটা করে নেওয়া যাবে।
অপরদিকে, আরটি-পিসিআর মেশিনও আগামী দিনে এখানে আসার কথা রয়েছে। ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল সার্ভিস কর্পোরেশন লিমিটেড থেকে সেই মেশিন দেওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু সেখান থেকে এখনও মেশিন আসার বিষয়ে কোনও বার্তা মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে এসে পৌঁছয়নি। তবে কর্তৃপক্ষ যে এখানে মেশিন বসানোর জন্য জায়গা তৈরির কাজ শুরু করে দিয়েছে সেকথা ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল কর্পোরেশন লিমিটেডকে তারা জানিয়ে দিয়েছে। আগামী সাত দিনের মধ্যে সেই জায়গা প্রস্তুতও হয়ে যাবে। পাশাপাশি মাইক্রো বায়োলজিস্ট সহ অন্যান্য কর্মীদেরও প্রস্তুত করা হয়েছে। এরপর মেশিন এসে পৌঁছলে ধাপে ধাপে তার মাধ্যমে সোয়াবের নমুনা পরীক্ষার কাজ শুরু করা যাবে। এটি চালু হলে আগামী দিনে এখানে অনেক বেশি সংখ্যক সোয়াব পরীক্ষা করা সম্ভব হবে।