শরীর নিয়ে চিন্তায় থাকতে হবে। মাথা ও কোমরে সমস্যা হতে পারে। উপার্জন ভাগ্য শুভ নয়। ... বিশদ
কোচবিহারের মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক সুমিত গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, বিহারে যে ব্যক্তি মারা গিয়েছেন তাঁর মৃত্যুর কারণ হিসেবে হার্টঅ্যাটাক ডেথ সার্টিফিকেটে উল্লেখ ছিল। এরসঙ্গে করোনার কোনও সম্পর্ক নেই। ফলে এ নিয়ে স্থানীয়দের আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। বালারহাটে মৃত ব্যক্তির সোয়াব সংগ্রহ সহ দেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। ময়নাতদন্তে অন্য সমস্যায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এ কারণেই আমরা তাঁর দেহ পরিবারের হাতে তুলে দিয়েছি।
প্রসঙ্গত মাথাভাঙা-১ ব্লকের নলঙ্গিবাড়ির এক ব্যক্তি ছ’মাস আগে একাই বিহারের ইটভাটায় শ্রমিকের কাজ করতে যান। করোনার কারণে লকডাউন শুরু হওয়ায় তিনি সেখান থেকে বাড়িতে ফিরতে পারছিলেন না। মৃতের পরিবারের লোকজনের দাবি, রবিবার রাত ১০টা নাগাদ তিনি অসুস্থ হন। ইটভাটার অন্য শ্রমিকরা তাঁকে পূর্ণিয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এরপরেই তাঁর মৃতদেহ বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। পরিবারের অন্য সদস্যরা এদিন সকাল থেকে মৃতদেহ সৎকার করতে গেলে এ নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা আপত্তি জানান। পরে মাথাভাঙা থানার পুলিস গিয়ে এলাকার লোকজনের সঙ্গে কথা বলে মৃতদেহ সৎকারের ব্যবস্থা করে। যদিও এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয়রা। তাঁদের দাবি, মৃত ব্যক্তির দেহ ময়নাতদন্ত করা হয়নি, এমনকি ভিনরাজ্য থেকে মৃতদেহ আনা হলেও স্বাস্থ্য দপ্তর সোয়াব টেস্ট করেনি। স্থানীয়া বলেন, প্রতিটি ঘটনাকে প্রশাসন ছোট করে দেখাচ্ছে। বালারহাটের মৃত ব্যক্তির সোয়াবের রিপোর্ট হাতে না আসার আগেই দেহটি পরিবারকে দিয়ে দেওয়া হয়েছে। বালারহাট ও নলঙ্গিবাড়িতে শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্রে করে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে।