শরীর নিয়ে চিন্তায় থাকতে হবে। মাথা ও কোমরে সমস্যা হতে পারে। উপার্জন ভাগ্য শুভ নয়। ... বিশদ
স্থানীয় বাসিন্দা মীরা টোপ্পো বলেন, এলাকায় চিতাবাঘের আতঙ্কের পর বন দপ্তর খাঁচা পেতেছিল। খাঁচায় টোপ না থাকলে চিতাবাঘ ধরা দেবে না। তাই আমরা বন দপ্তরের কাছে আর্জি জানিয়েছি, সেখানে সর্বক্ষণ ছাগল কিংবা কুকুর দিয়ে টোপ দেওয়ার ব্যবস্থ করার।
উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াচ অ্যান্ড ওয়ার্ড বিভাগের ওসি সজল চক্রবর্তী বলেন, আমরাই ছাগলের বন্দোবস্ত করেছিলাম। কিন্তু কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি চলেছে। এতে ওই খাঁচায় ছাগলটি রাখলে সেটি মারা যাবে। তাই বাগডোগরা বন দপ্তরের আধিকারিকদের পরামর্শ নিয়ে আমরা খাঁচা থেকে ছাগল সরিয়ে দিয়েছি।
বাগডোগরার রেঞ্জার সমীরণ রাজ বলেন, লকডাউনের মধ্যে বিভিন্ন গ্রামে চিতাবাঘের আতঙ্ক ছড়িয়েছে। অধিকাংশ এলাকাতে বন বিড়ালের পায়ের ছাপ দেখেই আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। যদিও আমরা ঝুঁকি না নিয়ে ওইসব জায়গায় টহল দিচ্ছি। এমনকি খাঁচাও পাতছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সংলগ্ন চা বাগানে একটি খাঁচা পেতেছিলাম। ওই খাঁচায় ছাগল রেখে টোপ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেটি নেই, এটা আশ্চর্যের।
বন দপ্তরের কার্শিয়াং বিভাগের ডিএফও জে শেখ ফরিদ বলেন, স্থানীয় গ্রামবাসীদের অভিযোগ আমরা উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন চা বাগানে এবং ফাঁসিদেওয়ার ডিগরিভিটার একটি চা বাগানে খাঁচা পেতেছিলাম। এরমধ্যে রবিবার ডিগরিভিটাতে একটি পূর্ণবয়স্ক চিতাবাঘ খাঁচাবন্দি হয়। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে পাতা খাঁচায় ছাগল না থাকলে আমরা সেটি সরিয়ে দেব।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ৮ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের পিছনে নিমতলা গ্রামে একটি চিতাবাঘকে এলাকার লোকজন দেখতে পান। ওই দিন থেকেই এলাকায় চিতাবাঘের আতঙ্ক ছড়ায়। যেহেতু এলাকাটি জনবহুল তাই সেখানে কর্মীরা কয়েকদিন টহল দেয়। এরপর উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াচ অ্যান্ড ওয়ার্ড বিভাগের ওসি’র অনুরোধে ১৪ মে কার্শিয়াং ডিভিশনের বাগডোগরা বন বিভাগ বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন চা বাগানে ছাগলের টোপ দিয়ে খাঁচা পাতে। কিন্তু সেখানে দু’দিন ছাগলটি থাকার পর সেটিকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বন বিভাগের সূত্রে জানা গিয়েছে, যে গ্রাম থেকে চিতাবাঘের আতঙ্কের খবর আসে সেখানে তারা খাঁচা পাতে। গ্রামের বাসিন্দাদের থেকে ছাগলের বন্দোবস্ত করা হয়। কিন্তু সেখান থেকে ছাগল বের করে নিলে চিতাবাঘ বন্দি হওয়া মুশকিল। প্রসঙ্গত, রবিবার সন্ধ্যায় বাগডোগরার অদূরে ডিগরিভিটায় বছর সাতের চিতাবাঘ খাঁচায় বন্দি হয়। চিতাবাঘটিকে বনকর্মীরা সালুগাড়ার বেঙ্গল সাফারি পার্কে নিয়ে গিয়েছে। সেখানে সেটিকে কয়েকদিন পর্যবেক্ষণে রাখবে। বনবিভাগ জানিয়েছে, চিতাবাঘটি সুস্থ হলে সেটিকে গভীর জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে।