কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
মালদহের উপমুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক-২ অমিতাভ মণ্ডল বলেন, আমাদের জেলায় এখনও পর্যন্ত ১২৪ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের সন্ধান মিলেছে। আক্রান্তরা সকলেই পরিযায়ী শ্রমিক।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, নতুন আক্রান্তদের মধ্যে সিংহভাগ কালিয়াচক-১ ও ২ ব্লকের বাসিন্দা। দু’জন ইংলিশবাজার এবং একজন করে রতুয়া-১, পুরাতন মালদহ, কালিয়াচক-৩ এবং চাঁচল-২ ব্লকের বাসিন্দা রয়েছেন। ইংলিশবাজার মহদিপুর এলাকা এতদিন করোনা মুক্ত ছিল। এবার সেখানকার এক বাসিন্দাও ওই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মহদিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সাগরদিঘি গ্রামের বাসিন্দা এক আট বছরের শিশু করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। জেলায় দশ বছরের নীচে এই প্রথম কেউ আক্রান্ত হল।
উল্লেখ্য, মালদহে গত এপ্রিল মাস থেকে ব্যাপক করোনা পরীক্ষা শুরু হয়। ২৬ এপ্রিল রাতে পাওয়া রিপোর্টে মানিকচকের বাসিন্দা এক শ্রমিকের প্রথম করোনা রোগ ধরা পড়ে। তারপর থেকে লাগাতার রোগীর সংখ্যা বাড়তেই আছে। তবে গত কয়েকদিনে রেকর্ড সংখ্যক রোগীর সন্ধান মিলেছে। তবে এজেলায় দীর্ঘদিন ধরে রয়েছেন এমন কেউ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হননি বলে প্রশাসনের দাবি।
জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, পরিযায়ী শ্রমিকদের স্রোত যেভাবে জেলায় ঢুকছে তাতে আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়বে। তবে আমরা সবার পরীক্ষা করতে পারব না। একমাত্র যাদের উপসর্গ রয়েছে তাদেরই করোনা পরীক্ষা করা হবে। বাকিদের বাড়িতে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা প্রচারও শুরু করেছি। বাড়িতে কীভাবে থাকতে হবে তাও বলে দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে গৌড়বঙ্গের আরও এক জেলা উত্তর দিনাজপুরেও আরও করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। জেলায় তিনজন করোনা আক্রান্ত রোগীর খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। তাঁদের মধ্যে দু’জন রায়গঞ্জ ব্লকের এবং একজন করণদিঘি ব্লকের বাসিন্দা। স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁরা প্রত্যেকে পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে ভিন রাজ্যে কাজ করতে গিয়েছিলেন। সম্প্রতি তাঁরা জেলায় ফিরে আসার পর তাঁদের সোয়াব সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। তারপরে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ভাইরোলজি বিভাগের পরীক্ষায় তাঁদের নমুনায় ভাইরাসের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। এই খবর উত্তর দিনাজপুর জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরে পৌঁছতেই আক্রান্ত তিন ব্যক্তির খোঁজ শুরু করে দেয় তারা। তারপর যথাযথ চিকিৎসা পদ্ধতিও চালু হয়ে গিয়েছে। এই নিয়ে জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা ৪৭-এ পৌঁছলো। নতুন করে করোনা আক্রান্ত তিনজনের মধ্যে একজন রায়গঞ্জ ব্লকের গৌরী গ্রাম পঞ্চায়েত এবং আর একজন কুমরুল এলাকার বাসিন্দা। বাকি একজন করণদিঘি ব্লকের রসাখোয়া এলাকার বাসিন্দা।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাতেও আরও একজনের শরীরে মিলল করোনা সংক্রমণের হদিশ। তপনের রামচন্দ্রপুরের শুকদেবপুরের বাসিন্দা ওই ব্যক্তি ভিন রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করতেন। এই নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল সাত।