পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আব্দুল কাদের সাফেলি বলেন, সরকারি নির্দেশে রয়েছে ১১ জুন কলেজ খুললে একমাসের মধ্যে পরীক্ষা শুরু করতে হবে। আমরা সেই অনুসারে প্রস্তুতি নিয়ে রাখছি। কীভাবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পরীক্ষা নেওয়া যায়, শ্রেণীকক্ষ কীভাবে স্যানিটাইজ করা যায় এসব নিয়ে আমরা বিভিন্ন কলেজের অধ্যক্ষ ও টিচার ইনচার্জদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সম্প্রতি আলোচনা করেছি। আমরা এমসিকিউ পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে সেখানে কথা বলেছি। সাধারণ ভাবে পরীক্ষা নিলে নির্দিষ্ট সময়ে রেজাল্ট তৈরি করা প্রায় অসম্ভব। তাই যতটা পারা যায় সুপরিকল্পিত কাঠামো গড়ে আমাদের এগতে হবে।
সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কলেজগুলিতে একবারে কতজন ছাত্রছাত্রীর পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব তারও একটি করে সম্ভাব্য তালিকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কলেজগুলির থেকে সংগ্রহ করেছে। করোনা পরিস্থতিতে বিশ্ববিদ্যালয় সামাজিক দূরত্বের কথা মাথায় রেখে এমসিকিউ (মাল্টিপল চয়েস কোশ্চেন) ধাঁচের প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি, অন্যান্য সময়ে যেভাবে পরীক্ষা হয় এখন সেই ভাবে পরীক্ষার পর খাতা দেখে রেজাল্ট তৈরি করতে হলে অনেকটা দেরি হয়ে যাবে। বিশেষ করে যাঁরা ষষ্ঠ সেমেস্টারের পরীক্ষা দেবেন তাঁদের রেজাল্ট বের হওয়ার উপরে তাঁদের পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর স্তরে ভর্তির প্রশ্ন রয়েছে। তাই সঠিক সময়ে তাঁরা যাতে ভারতের যে কোনও জায়গায় ভর্তি হতে পারেন সেই দিকেও নজর রাখা হচ্ছে। তবে সরকারি কি নির্দেশ আসে তার উপরেই সব কিছু নির্ভর করছে।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, দিনহাটা, মাথাভাঙা, তুফানগঞ্জ সহ আরও বেশ কয়েকটি কলেজে কিছু বিষয়ে প্রচুর ছাত্রছাত্রী রয়েছে। একজন করে পডুয়াকে একটি বেঞ্চে বসিয়ে পরীক্ষা নেওয়া সেক্ষেত্রে মুশকিল হয়ে যাবে। সেই কারণে চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে যে একই দিনে কয়েকটি ধাপে পরীক্ষা নেওয়া যায় কি না। দু’টি পরীক্ষার মাঝে একটি নির্দিষ্ট সময়ের ফারাক রাখলে আগের পরীক্ষার্থীরা বের হয়ে যেতে পারবেন। এতেও সামাজিক দূরত্ব বজায় থাকবে। সেই কারণেই এমসিকিউ মডেলে প্রশ্ন করার বিষয়ে ভাবনাচিন্তা কর্তৃপক্ষ করছে। পাশাপাশি স্নাতক স্তরে দ্বিতীয় ও চতুর্থ সেমেস্টারেও এমসিকিউ পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়া যায় কি না তার জন্যও বিশ্ববিদ্যালয় প্রস্তুতি রাখছে। সরকারি বাধা নিষেধ না থাকলে এভাবেও যাতে পরীক্ষা নেওয়া যায় সেই প্রস্তুতি বিশ্ববিদ্যালয় রাখছে। তবে এসবই নির্ভর করবে সরকারি চূড়ান্ত নির্দেশের উপরে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তাদের অধীনে থাকা ১৪টি কলেজে স্নাতক স্তরের ষষ্ঠ সেমেস্টারের পরীক্ষায় প্রায় ২০ হাজার ছাত্রছাত্রী রয়েছে। পরীক্ষা হলে কলেজগুলিতে একএকটি বেঞ্চে একজন করে পরীক্ষার্থী বসিয়ে একবারে কতজনের পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব সেই তালিকাও সংগ্রহ করা হয়েছে। যদি এভাবে পরীক্ষা নিতে হয় তাহলে ক’টি ভাগে একএকটি বিষয়ের পরীক্ষা নিতে হবে, পরবর্তীতে সেই হিসেবে চিন্তাভাবনা করা হবে বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে। যদিও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পরিকল্পনা করে এখন থেকেই না এগলে সময়ে পরীক্ষা নেওয়া এবং ফল প্রকাশ করা অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে।