বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
অশোকবাবু বলেন, গত কয়েকদিনে রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। শিলিগুড়িতেও কয়েকজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে প্রশাসন যথেষ্ট ভালো কাজ করছে। গত কয়েকদিনে অনেকের করোনা পরীক্ষা হয়েছে। উল্লেখ্যযোগ্য ভাবে করোনা পরীক্ষার হার বেড়েছে। কিন্তু এখনও অনেকের লালারস পাঠালেও তা পরীক্ষা হয়নি। তাঁরা রাস্তাঘাটে ঘুরছেন। প্রায় ছয়-সাত হাজার সোয়াব টেস্টের জন্য এখনও পড়ে আছে। সেগুলি দ্রুত পরীক্ষা করা উচিত। কোনও ব্যক্তি করোনা সন্দেহজনক হলে স্বাস্থ্যকর্মী ও পুলিস অত্যন্ত তৎপরতার সঙ্গে তাঁদের সরকারি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে নিয়ে যাচ্ছে। কাউকে যদি হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয় তাঁদের উপর স্থানীয়ভাবে নজরদারি বাড়াতে টিম তৈরি করা হচ্ছে। কাউন্সিলারদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও নজরদারি করতে পারবে। একইসঙ্গে সাধারণ মানুষকে সচেতন হওয়ার বার্তাও দেন তিনি।
অশোকবাবু আরও বলেন, অনেকেই বাইরে থেকে এসে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছেন না। অনেকেই হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকছেন না, বা তথ্য জানাচ্ছেন না। সরকারি বিধিনিষেধ মেনে চলা উচিত। স্বাস্থ্যদপ্তরের পাশাপাশি পুরসভাও যথেষ্ট ভূমিকা পালন করছে। কোনও এলাকায় করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলতেই সেখানে কন্টেইনমেন্ট জোন তৈরি করা হচ্ছে। পুরসভা এব্যাপারে যাবতীয় সাহায্য করছে। পাশাপাশি ওই এলাকা জীবাণুমুক্ত করার কাজও চালানো হচ্ছে। সেইসঙ্গে স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষার কাজও চালাচ্ছেন। পাশাপাশি পুরসভার পক্ষ থেকে কন্টেইনমেন্ট জোন এলাকায় মানুষদের সাহায্য ও পরিষেবা প্রদান করতে সমস্ত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। জরুরিকালীন পরিস্থিতিতে জল ও খাবার প্রদান করতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ওয়ার্ড মনিটরিং কমিটি এগুলি নজর রাখবে।
দিন যত এগচ্ছে ততই বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। গত কয়েকদিনে শিলিগুড়িতেও করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে আতঙ্কও গ্রাস করেছে উত্তরপূর্বের প্রবেশদ্বার এই শহরকে। ইতিমধ্যে এলাকায় করোনা সংক্রমণের হদিস মিলতেই পুরসভা ও দমকলের পক্ষ থেকে এলাকা স্যানিটাইজ করা হয়েছে। একইসঙ্গে স্বাস্থ্য পরীক্ষাতেও জোর দেওয়া হয়েছে।