পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এসজেডিএ’র পরিচালন বোর্ডের পুনর্গঠন করেছে রাজ্য সরকার। গত ২২ মে পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তর এ ব্যাপারে বিজ্ঞপ্তি জারি করে। বিজ্ঞপ্তিতে বোর্ডের সদস্য হিসেবে ২১ জনের নাম উল্লেখ আছে। যারমধ্যে ছ’জনই নতুন সদস্য। তাঁরা হলে রঞ্জন সরকার, নান্টু পাল, রঞ্জন শীলশর্মা, দুলাল দত্ত, নিখিল সাহানি ও পরিমল মিত্র। এঁরা প্রত্যেকেই শিলিগুড়ি পুরসভার প্রাক্তন তৃণমূলী কাউন্সিলার। রঞ্জন সরকার পুরসভার বিরোধী দলনেতা ছিলেন। এঁদের মধ্যে নান্টুবাবুকে বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট পদটি নতুন সৃষ্টি করা হয়েছে।
এ নিয়ে বিভিন্ন মহলের অভিযোগ, বহু চেষ্টা করেও তৃণমূলের প্রাক্তন কাউন্সিলাররা পুরসভার প্রশাসক বোর্ডে বসতে পারেননি। তাই পুনর্বাসন দিতেই এসজেডিএ’র বোর্ডে ওই প্রাক্তন কাউন্সিলারদের শামিল করেছে রাজ্য সরকার। এসজেডিএ’র চেয়ারম্যান বিজয়চন্দ্র বর্মন অবশ্য বলেন, এতদিন বোর্ডে শিলিগুড়ি শহরের কোনও সদস্য ছিলেন না। এবার বোর্ডের সদস্য হিসেবে শহরের ওই বাসিন্দাদের মনোনীত করেছে রাজ্য সরকার। এতে শিলিগুড়ি শহরের পক্ষে ভালো হল।
শুধু তাই নয়, এবার এসজেডিএ’র পরিচালন বোর্ডের কলেবর বৃদ্ধি করা হয়েছে। প্রশাসন সূত্রের খবর, এতদিন পর্যন্ত পরিচালন বোর্ডের সদস্য সংখ্যা ছিল ১৭। যারমধ্যে দার্জিলিং ও জলপাইগুড়ি জেলার জেলাশাসক, দুই পুলিস সুপার, তিনজন বিধায়ক, দু’টি পুরসভার চেয়ারম্যান, শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের বিরোধী দলনেতা, পুরদপ্তরের প্রধান সচিব প্রমুখ ছিলেন। এবার পুনর্গঠিত কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে দার্জিলিং ও জলপাইগুড়ির দুই পুলিস সুপারকে। নতুন ছ’জনকে শামিল করে বোর্ডের সদস্য সংখ্যা করা হয়েছে ২১। এসজেডিএ’র চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার পরিচালন বোর্ডের মেম্বার সেক্রেটারি। তবে এবারের কমিটিতে বিরোধী দলের কোনও জনপ্রতিনিধিকে রাখা হয়নি।
সমগ্র পরিস্থিতি নিয়ে শহরের রাজনীতিতে জোর বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। বামফ্রন্টের কয়েকজন নেতা বলেন, বিগত বাম জমনায় এসজেডিএ’র পরিচালন বোর্ডে সদস্য হিসেবে বিরোধীদের রাখা হতো। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে বোর্ড পরিচালনা করতেই এমন পদক্ষেপ নেওয়া হতো। এখন ওরা গণতন্ত্রের ধারধারে না। তাই একতরফা ভাবে বোর্ড গড়েছে। তাছাড়া নিয়ম অনুসারে এসজেডিএ’র পরিচালন কমিটির সদস্য সংখ্যা ১৩ জনের মধ্যে হওয়ার কথা। কীভাবে বর্তমান বোর্ডের সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি পেল তাও স্পষ্ট নয়।
শিলিগুড়ি পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান সিপিএমের অশোক ভট্টাচার্য বলেন, এসজেডিএ’র বর্তমান বোর্ড রাজনৈতিক নাকি উন্নয়নের উদ্দেশে গঠন করা হয়েছে, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। এসজেডিএ’র বোর্ড মেম্বার তথা শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের বিরোধী দলনেতা তৃণমূলের কাজল ঘোষ বলেন, যিনি পুরসভায় সকলকে নিয়ে চলতে পারেন না, তাঁর মুখে ওসব কথা মানায় না। এসজেডিএ’র নয়া সদস্য তথা তৃণমূলের দার্জিলিং জেলা সভাপতি রঞ্জন সরকার বলেন, এই শহরের উন্নয়নমূলক কাজকর্ম এসজেডিএ এবং উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের মাধ্যমেই হচ্ছে। এবার উন্নয়নমূলক কাজে আরও গতি আসবে। কাজেই বিরোধীদের বক্তব্য নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছি না। এখানে বিতর্কেরও কিছু নেই।