কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক-২ কিশলয় দত্ত বলেন, গঙ্গারামপুরে একজন করোনা আক্রান্তের রিপোর্ট পেয়েছি উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল থেকে। বাকি গঙ্গারামপুর ব্লকের পাঁচজন পরিযায়ী শ্রমিকের সোয়াব টেস্টের রিপোর্ট সন্দেহজনক হওয়ায় তা বালুরঘাটে পরীক্ষা করার পর আমরা শ্রমিকদের লালারস মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছি। এখনও সেই পাঁচজন শ্রমিকের সোয়াব পরীক্ষার রিপোর্ট আসেনি .শ্রমিকদের আমরা আলাদাভাবে কোভিড হাসপাতালে রেখেছি। সেইসব শ্রমিকদের সংস্পর্শে আসা ব্যাক্তিদের উপর নজর রাখা হয়েছে। রিপোর্ট পেলেই সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, হরিয়ানা থেকে আসা এক পরিযায়ী শ্রমিকের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ থেকে এসেছে শনিবার। তারপরই আবার পাঁচ জন সন্দেহজনক পরিযায়ী শ্রমিকের লালারস বালুরঘাট হাসপাতালের ট্রুনেট টেস্টে পজিটিভ আসায় স্বাস্থ্য দপ্তর আলাদা করে শ্রমিকদের সোয়াব মেডিক্যাল কলেজে পাঠিয়েছে শনিবার সন্ধ্যায়। পরিযায়ী শ্রমিকদের সংস্পর্শে আসা ব্যাক্তিদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। সেইসঙ্গে পাঁচজন পরিযায়ী শ্রমিককে বালুরঘাট কোভিড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এদিকে এই ঘটনার পর রবিবার গঙ্গারামপুর শহরে ছড়িয়ে পড়ে করোনা আক্রান্তের হদিশ মেলার গুজব। তার জেরেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে শহরবাসীর মধ্যে। রবিবারের বাজার খাঁ খাঁ করতে দেখা যায় শহরে। সাধারণ মানুষের মধ্যে ভীতির সঙ্গে সঙ্গে তাল মিলিয়ে ছড়াচ্ছে ব্যাপক গুজব। কোথায় কতজন করোনা আক্রান্ত রয়েছেন, তা নিয়ে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় নানারকম গুজব ছড়াচ্ছে।
গঙ্গারামপুরের শহরের বাসিন্দা সর্বজিৎ গুহ বলেন, গঙ্গারামপুর শহর ও ব্লকের মধ্যে করোনা আক্রান্ত নিয়ে নানা ভুল খবর চাউর হয়েছে। আমরা খুবই আতঙ্কে রয়েছি। সরকারিভাবে তথ্য জানানো হোক আমাদের। এভাবে গুজব ছড়ানো ঠিক নয়। রবিবারের বাজার করোনার ভয়ে পুরো খালি হয়ে গিয়েছে। আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছে শহরবাসী। প্রশাসন বিষয়টি নিয়ে সাধারণ মানুষকে তথ্য দিয়ে এই পরিস্থিতি সামাল দিক।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২২ তারিখ গঙ্গারামপুর বেলবাড়ির তিন শ্রমিক মহারাষ্ট্র থেকে জেলায় ফিরে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে ছিলেন। এছাড়াও গঙ্গারামপুরের চালুন গ্রাম পঞ্চায়েতের একজন কলকাতা থেকে ফিরেছেন ও একজন হরিয়ানা থেকে ফিরেছেন। ২২ তারিখেই সেই দু’জনকেও ফেসিলিটি কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছিল। সন্দেহজনক হওয়ায় পাঁচ পরিযায়ী শ্রমিকের নমুনা বালুরঘাটে টেস্ট করানো হয়। এবার মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে সোয়াব পরীক্ষার রিপোর্ট এলে নিশ্চিত হতে পারবে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর।