বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
জয় সরকার ডেকোরেটারের ব্যবসা করেন। তিনি বলেন, লকডাউন উঠলে ধীরে ধীরে স্কুল, কলেজ খুলে যাবে। আমি চাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি আমার বানানো স্যানিটাইজার টানেল সংগ্রহ করুক। এটি দিয়ে সহজেই গোটা শরীর স্যানিটাইজ হয়ে যাবে। এতে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই অনেকটাই সহজ হবে।
অপরদিকে ধূপগুড়ি হাইস্কুলের ছাত্র রাজদীপ গোপও গোটা শরীর স্যানিটাইজ করার মেশিন বানিয়ে সকলকে তাক লাগিয়েছেন। রাজদীপের বাড়ি ধূপগুড়ির ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যপাড়ায়। সে জানিয়েছে, স্কুল খুললে তার তৈরি মেশিন স্কুলের শিক্ষকদের অনুমতি নিয়ে সেখানে বসাবে।
জয়বাবু বলেন, গোটা বিশ্বে করোনা ত্রাহি ত্রাহি রব তুলে দিয়েছে। এখনও পর্যন্ত এর ভ্যাকসিন কিংবা খাওয়ার ওষুধ বেরয়নি। লক্ষাধিক লোক এতে মারা যাচ্ছে। স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, নির্দিষ্ট সময় অন্তর হাত ধুতে। আমরা তাই করছি। কিন্তু ভাইরাস জামাকাপড়ে লেগে থাকলে সেটা আমাদের চোখে মুখে লাগতে পারে। তাই আমার তৈরি স্যানিটাইজ টানেল দিয়ে হেঁটে গেলে স্যানিটাইজারে ভাইরাস মরতে পারে। আমার এই টানেল বানাতে মাত্র ৭০০০ টাকা খরচ হয়েছে। তবে আরও পাকাপোক্ত করে এটি করতে ১৪ হাজার টাকা খরচ হবে। স্যানিটাইজর টানেলে পাঁচটি অত্যাধুনিক নজেল লাগানো হয়েছে। সেখানে একটি সেনসর বসানো হয়েছে। আমরা ওর মধ্যে দিয়ে হেঁটে গেলেই শরীরে স্যানিটাইজার স্প্রে হয়ে যাবে। ঠিক যেমনটা বডি স্প্রে’র বোতল থেকে সুগন্ধি বেরয়। এটি করতে ২০০ লিটারের একটি জলের ড্রাম লেগেছে। আমি তাতেই স্যানিটাইজার বানিয়ে রেখেছি। লোহার পাইপ দিয়ে ফ্রেম করেছি। তাতে ছিদ্র করে নজেল যুক্ত করেছি। আমার ইচ্ছে আছে কেউ চাইলে তাঁকেও এটি করে দেব। একটি সেনসরযুক্ত স্যানিটাইজার মেশিনও বানিয়েছি। সেটি দেয়ালে লাগানো যাবে। কারও হাত ওই মেশিনের নলের সামনে আনলেই স্প্রে হবে এবং হাতটি স্যানিটাইজ হয়ে যাবে।
অন্যদিকে, রাজদীপ বলে, আমার ডোর স্যানিটাইজার দিয়ে কেউ প্রবেশ করলে তাঁর পায়ের চাপ ওই ফ্রেমে পড়বে। তখন স্প্রে হয়ে স্যানিটাইজার পড়বে। এরজন্য লোহার পাতলা ফ্রেম ব্যবহার করেছি। অ্যালকোহল যুক্ত স্পিড, অ্যালোভেরা জেল দিয়ে আমি বাড়িতেই স্যানিটাইজার তৈরি করেছি।
ধূপগুড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান রাজেশ কুমার সিং ওই দু’জনের এমন কাজের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন, ওঁদের পাশে পুরসভা আছে।