বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
দিনহাটার সিতাই ব্লকের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে মানসাই নদী। প্রতি বছর বর্ষায় নদীর দুই পাড়ের হাজার হাজার বিঘা চাষের জমি নদীগর্ভে চলে যায়। সেচদপ্তরের উদ্যোগে সিতাই ব্লকে মানসাই নদীর ভাঙন রোধে উদ্যোগী হয় সেচদপ্তর। বিগত কয়েক বছরে সিতাই ব্লকে কয়েক কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। সিতাইয়ের বিডিও অমিত কুমার মণ্ডল বলেন, সেচদপ্তর বারো বাংলা ঘাট এলাকায় নদীর পাড় বাঁধার কাজ তাড়াতাড়ি শুরু করবে। এই নদীর পাড় বাঁধার কাজ শেষ হলে এই ব্লকে আর ৫০০ মিটার বাঁধের কাজ বাকি থাকবে। সেটা হয়ে গেলে সিতাই ব্লকে মানসাই নদীর ভাঙন থেকে মানুষ রক্ষা পাবে।
প্রসঙ্গত, গত বছর নভেম্বরে সিতাই ব্লকের আদাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের কিসামত আদাবাড়ি থেকে মোড়ভাঙা পর্যন্ত ৩ কোটি ৭৭ লক্ষ টাকা ব্যায়ে ৮৫০ মিটার পাড় বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। বাঁধ না থাকায় প্রতি বছর সিতাই ব্লকের বিভিন্ন গ্রামের কয়েকশো বিঘা জমি নদীগর্ভে তলিয়ে যায়। এজন্য বাসিন্দারা দীর্ঘদিন থেকেই বাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। দেরিতে হলেও অবশেষে বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু হওয়ায় তাঁরা খুশি। গত বর্ষায় সিতাই বিধানসভা এলাকার গীতালদহ, ওকরাবাড়ি, পেটলা, বড় শৌলমারি, গোসানিমারি, ব্রহ্মত্তরচাত্রা, আদাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রায় ৫০০ বিঘা জমি নদীগর্ভে চলে গিয়েছে।
সিতাইয়ের বিধায়ক তৃণমূল কংগ্রেসের জগদীশ চন্দ্র বর্মা বসুনিয়া বলেন, নদী ভাঙন সিতাইয়ের একটি বড় সমস্যা। আমি বিধায়ক হওয়ার পর কৃষি জমি যাতে নদীগর্ভে যেতে না পরে সেজন্য উদ্যোগী হই। নদী ভাঙন ঠেকানোর জন্য সেচদপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করে নদীর পাড় বাঁধানোর চেষ্টা করি। সিতাই ব্লকের আদাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের কিসামত আদাবাড়ি থেকে মোড়ভাঙা পর্যন্ত ৮৫০ মিটার বাঁধের কাজ ইতিমধ্যেই শেষ হয়ে গিয়েছে। সিতাইয়ের দিকে সিঙ্গিমারি নদীর এক পাশের বাঁধ তৈরির কাজ পুরোটা শেষ হয়েছে। এই কাজের জন্য ইতিমধ্যেই টেন্ডার হয়ে গিয়েছে। বর্ষার আগেই যাতে এই কাজ শেষ করা যায় সেবিষয়ে সেচদপ্তরের সঙ্গে কথা বলব।