বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
হরিশ্চন্দ্রপুর-১ ব্লকের বিডিও অনির্বাণ বসু বলেন, মিসকিনপুর গ্রামের ডিলারে বিরুদ্ধে এক মহিলাকে খাদ্য সামগ্রী না দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়। ব্লক খাদ্য আধিকারিক কথা বলে সমস্যার সমাধান করে দিয়েছেন। ওই মহিলার কাছে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
ডিলার রাহানুল হক বলেন, আমার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সত্য নয়। ওই মহিলা তাঁর রেশন কার্ড নিয়ে আসেননি। তাই তাঁকে কার্ড আনতে বলা হয়। তাঁর প্রাপ্য খাদ্য সামগ্রী তাঁর বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছি।
উপভোক্তা হুসনেরা বেওয়া বলেন, ডিলার রাহানুল হকের কাছে রেশন আনতে গেলে রেশন সামগ্রী না দিয়ে ডায়েরি ছিঁড়ে ফেলে দেন। আমি বিধবা মানুষ। বাড়িতে রয়েছে চার মেয়ে ও এক ছেলে। মোট ছ’জনের পরিবার। ছেলে হুসেন আলি ভিন রাজ্যে আটকে রয়েছে। লকডাউনে বাড়িতে দেখা দিয়েছে চরম খাদ্য সঙ্কট। তাই রেশনের খাদ্য সামগ্রীই এই মুহূর্তে একমাত্র ভরসা। রেশন পেয়ে খুব সুবিধা হল।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দীর্ঘদিন ধরেই ডিলার রাহানুল হক রেশনের সামগ্রী বন্টনের কাজে নানা অনিয়ম করছেন। তাঁর বিরুদ্ধে ব্লক প্রশাসনের কাছে একাধিকবার অভিযোগ জানানো হয়েছে। ব্লক খাদ্য কর্মাধক্ষ্য কেরামুদ্দিন আহমেদ বলেন, এর আগেও ওই ডিলারকে একাধিক বার সতর্ক করা হয়েছে। রেশন সামগ্রী বণ্টনে কোনও অনিয়ম বরদাস্ত করা হবে না।
প্রসঙ্গত, এর আগে মালদহে রেশন নিয়ে একাধিক অভিযোগ উঠেছে। কখনও রেশন সামগ্রী পাচারের অভিযোগ উঠেছে। কখনও আবার উপভোক্তাদের প্রাপ্য সামগ্রী না দেওয়ার মতো অভিযোগে এলাকা সরগরম হয়ে উঠেছে।