কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
শিলিগুড়ি সিটিঅটো ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সম্পাদক প্রসূন দাশগুপ্ত বলেন, সরকারি নির্দেশে পুরনো সিটিঅটো স্ক্র্যাপে দিয়ে শোরুম থেকে নতুন প্রায় ৫০০ জন মালিক ম্যাক্সিক্যাব কিনেছেন। অধিকাংশ মালিকই গাড়ি চালান। কিন্তু লকডাউনের কারণে রাস্তায় আমরা গাড়ি নামাতে পারছি না। এখনও প্রশাসনিক স্তরে গাড়ি চালানোর ব্যাপারে আমাদের কাছে কোনও নির্দেশিকা আসেনি। ফলে রোজগার বন্ধ থাকায় চরম সমস্যায় আমরা পড়েছি। ব্যাঙ্ক, ফিনান্স কোম্পানি থেকে ঋণ নিয়ে সকলেই ম্যাক্সিক্যাব কিনেছেন। সরকার ইএমআই জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে সাময়িক স্বস্তি দিয়েছে। কিন্তু সেটাও তো একসময়ে এসে দিতে হবে। অনেকেই আবার আগের কিস্তির টাকা বকেয়া পড়ে গিয়েছে। শীঘ্রই আমরা রাস্তায় গাড়ি নামাতে না পারলে পরিবার নিয়ে পথে বসতে হবে।
আইএনটিটিইউসি দার্জিলিং জেলা সভাপতি অরূপরতন ঘোষ বলেন, যা পরিস্থিতি গড়াচ্ছে তাতে কোভিড-১৯ সহজে নির্মূল হওয়ার নয়। রাস্তায় ম্যাক্সিক্যাব নামাতে না পেরে চালক-মালিকদের পেটে টান পড়ছে, এটাই স্বাভাবিক। সিটিঅটোর পরিবর্তে ম্যাক্সিক্যাব কিনে এখন তাঁরা সমস্যায় মধ্যে পড়েছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাদের কাছে কোনও গাইডলাইন দেওয়া হয়নি। আমরা চাইব যাঁরা ঋণ নিয়ে ম্যাক্সিক্যাব কিনেছেন তাঁদের দিকটা সরকার সহানুভূতির চোখে দেখুক।
দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক এস পুন্নমবালম বলেন, ম্যাক্সিক্যাব মালিকদের বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখব। আপাতত আমাদের করোনা মোকাবিলা করতে হবে। করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলায় সকলকে একজোট থাকতে হবে।
করোনার প্রকোপ বাড়ছে দিন দিন। তারই মাঝে একটু একটু করে ছন্দে ফিরছে শহর। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে রাস্তায় বাস নামানোর অনুমতি সরকার দিয়েছে। কিন্তু এখনও ম্যাক্সিক্যাব নামানোর বিষয়টি পরিষ্কার নয়। ম্যাক্সিক্যাবে আটজন বসা হয়। সেক্ষেত্রে যদিওবা অনুমতি আসে তখন উল্টোদিকের সিটে দু’জনের বেশি বসতে দেওয়া হবে না। ওরকম পরিস্থিতিতে রাস্তায় ম্যাক্সিক্যাব নামিয়ে যাত্রী তোলা হলে আরও ক্ষতিরমুখে তাঁরা পড়বেন। রোজগার না থাকায় কার্যত এখন তাঁরা দিশাহীন হয়ে পড়েছেন।
শিলিগুড়ি শহরের দূষণ কমাতে তিনচাকার সিটিঅটোর পরিবর্তে চারচাকার ম্যাক্সিক্যাব নামানো হয়। শহরে প্রায় ১২০০ সিটিঅটো চলত। অনেকেই সরকারি নির্দেশে ওসব সিটিঅটো স্ক্র্যাপ করে দেন। পরিবর্তে ব্যাঙ্ক কিংবা বিভিন্ন ফিনান্স কোম্পানি থেকে ঋণ নিয়ে গাড়ি কেনেন। জানুয়ারি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত শহরে প্রায় ৫০০টি নতুন ম্যাক্সিক্যাব নেমেছে। কিন্তু লকডাউন ঘোষণা হতেই ওসব বন্ধ হয়ে যায়। তাঁরাই এখন ঋণের কিস্তির টাকা দিতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছেন। ম্যাক্সিক্যাব চালক-মালিকদের দাবি, গোটা বিষয়টি সরকারের তাঁদের স্বার্থে খতিয়ে দেখুক।