কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
মৃতদের পরিবারের সদস্যরা জানান, দিল্লি থেকে তাঁরা ব্যক্তিগত উদ্যোগে গাড়ি ভাড়া করে বাড়ি ফিরছিলেন। গত শুক্রবার বিকেল চারটা নাগাদ উত্তরপ্রদেশের ফিরোজাবাদ এলাকার জাতীয় সড়কে পথ দুর্ঘটনা ঘটে। দূর্ঘটনাস্থলেই গাড়ি চালক মারা যান বলে তাঁরা জানান। স্থানীয় লোকজন ও অন্যান্য পরিযায়ী শ্রমিকরা রক্তাক্ত অবস্থায় দুই পরিযায়ী শ্রমিককে পার্শ্ববর্তী হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তারবাবুরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। লকডাউনে আটকে গিয়ে এই শ্রমিকরা বাড়ি ফিরতে পারেননি। এখন নিয়ম কিছুটা শিথিল হওয়ায় বাড়ি ফেরার চেষ্টা করতে গিয়ে অকালে প্রাণ হারালেন এই শ্রমিকরা। এই দুই শ্রমিকের অকালমৃত্যুতে চাঁচল মহকুমা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
পরিযায়ী শ্রমিক মহম্মদ সাকিল ও ইরফান আলিরা জানান, শুক্রবার চাঁচল মহকুমার প্রায় ৩১ জন পরিযায়ী শ্রমিক একটি বাস ভাড়া করে দিল্লি থেকে বাড়ির উদ্দেশে রওয়ানা হন। উত্তরপ্রদেশের ফিরোজাবাদ হয়ে মালদহে আসার পথে ফিরোজাবাদ এলাকায় জাতীয় সড়কে বাসের টায়ার পাংচার হয়ে যায়। চালক সহ বেশ কয়েকজন পরিযায়ী শ্রমিক বাস থেকে নেমে যান। চালক পাংচার সারানোর সময় পেছন দিক দিয়ে অপর একটি বাস এসে সেই বাসে সজোরে ধাক্কা মারলে বাসে চাপা পড়ে চালক ঘটনাস্থলেই মারা যান। তড়িঘড়ি স্থানীয় লোকজন ও পরিযায়ী শ্রমিকরা রক্তাক্ত ওই দুই পরিযায়ী শ্রমিককে পার্শ্ববর্তী হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। মৃতদেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানা যায়। উত্তরপ্রদেশের পুলিস পরে বাসে করে বাকি ২৯ জন পরিযায়ী শ্রমিককে বিহারে পাঠিয়ে দেয়। তাঁরা সেখান থেকে আবার অন্য বাস ধরে মালদহের চাঁচল মহকুমায় পৌঁছবেন বলে শ্রমিকরা জানান।
হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি সঞ্জয়কুমার দাস বলেন, হরিশ্চন্দ্রপুরের বেজপুরার এক শ্রমিক উত্তরপ্রদেশে পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান। মৃতের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। চাঁচল মহকুমার পুলিস আধিকারিক সজলকান্তি বিশ্বাস বলেন, মৃতদের পরিবারের সদস্যদের স্থানীয় থানায় যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
জেলা কংগ্রেস সভাপতি তথা হরিশচন্দ্রপুরের বিধায়ক মোস্তাক আলম বলেন, উত্তরপ্রদেশে চাঁচল মহকুমার দু’জন শ্রমিক বাড়ি ফেরার পথে দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন।