কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
ওই যুবক এলাকায় ফেরার পর তাঁকে প্রথমে কোয়ারেন্টাইনে পাঠিয়ে গত ১৩ তারিখে সোয়াব সংগ্রহ করে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। যদিও পরীক্ষার রিপোর্ট আসতে দেরি হওয়ার জন্য তাঁকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার থেকে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়। ওই যুবককে বাড়িতেই হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার রাতে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ থেকে পাঠানো রিপোর্ট হাতে আসে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রশাসনের। শুক্রবার সকালেই ওই যুবককে বাড়ি থেকে তুলে এনে বালুরঘাটের বিএম স্কুলের সামনে থাকা কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পাশাপাশি পরিবারের সদস্যদের বাড়ি থেকে সরিয়ে নিয়ে গিয়ে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রাখা হয়েছে। ওই যুবক কোয়ারেন্টাইন থেকে ছুটি পাবার পরে কাদের সংস্পর্শে এসেছিলেন, তার খোঁজ স্বাস্থ্য দপ্তর চালাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। কুমারগঞ্জের করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলতেই পুরো ব্লকজুড়ে বাসিন্দাদের মধ্যে চরম আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।
মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুকুমার দে বলেন, কুমারগঞ্জের এক যুবকের করোনা পজেটিভ পাওয়া গেছে। তাঁকে কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। যুবক কার কার সংস্পর্শে এসেছেন, তার খোঁজ চালানো হচ্ছে। এই নিয়ে জেলায় আক্রান্তের মোট সংখ্যা দাঁড়াল পাঁচ জন।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় করোনা দেরি করে থাবা বসালেও দিন দিন বেড়ে চলছে সংক্রমণের সংখ্যা। ইতিমধ্যে কেবল কুশমণ্ডিতেই চার জন করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। তাঁদের মধ্যে প্রথম তিনজনকে পাঠানো হয়েছে উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জের কোভিড হাসপাতালে। বাকি একজনকে পাঠানো হয়েছে বালুরঘাটেই। কুশমণ্ডির পরে এবার বালুরঘাট মহকুমার কুমারগঞ্জে ওই যুবকের খোঁজ মিলতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। জানা গিয়েছে, ওই যুবক তাঁর বন্ধুদের সঙ্গে গাড়ি ভাড়া করে বারাসত থেকে কুমারগঞ্জের উদ্যেশে রওনা দিয়েছিলেন। এখন স্বাস্থ্য দপ্তরের বড় মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ওই যুবকের সংস্পর্শে কারা কারা এসেছিলেন সেই বিষয়টি। তিনি কোথায় কোথায় গিয়েছেন তা নিয়েও খোঁজ চলছে। যদিও এবিষয়ে স্বাস্থ্য দপ্তর মুখ খুলতে চায়নি। এদিন কুমারগঞ্জের ব্লক প্রশাসন, স্বাস্থ্য দপ্তর ও পুলিস আধিকারিকদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করেন জেলাশাসক ও মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক। বৈঠক নিয়ে প্রকাশ্যে আধিকারিকদের কেউই মন্তব্য করেননি। যদিও সূত্রের খবর, কুমারগঞ্জ আগামী কয়েকদিনের মধ্যে কয়েক হাজার শ্রমিক ভিন রাজ্য থেকে আসছেন। তাঁরা জেলায় এলে কিভাবে তাঁদের উপর নজরদারি করা হবে, কোথায় রাখা হবে তা নিয়েই আলোচনা হয়েছে।