কর্মক্ষেত্রে সহকর্মীর ঈর্ষার কারণে সম্মানহানি হবে। ব্যবসায়ীদের আশানুরূপ লাভ না হলেও মন্দ হবে না। দীর্ঘ ... বিশদ
চেয়ারম্যান বলেন, পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের নির্দেশে আমরা দমকল বাহিনীর সাহায্যে শহরকে জীবাণুমুক্ত করার কাজ শুরু করেছিলাম। কিন্তু দমকলের গাড়ি শহরের অলিগলিতে প্রবেশ করতে পারছিল না। ফলে আমরা শুক্রবার থেকে একাধিক হ্যান্ড স্প্রে মেশিনকে জীবাণুনাশক স্প্রে করার কাজে লাগিয়েছি। প্রতিটি ওয়ার্ডে চার দিন ধরে স্যানিটাইজেশন প্রক্রিয়া চলবে। এদিন ১-১৫ নম্বর ওয়ার্ডে কাজ হয়েছে। শনিবারও ওইসব ওয়ার্ডে কাজ হবে। তার পরদিন থেকে ১৬-২৯ নম্বর ওয়ার্ড জীবাণুমুক্ত করা হবে। এভাবে চলতে থাকবে। হ্যান্ড মেশিনগুলি ব্যাটারিচালিত। ব্যাটারির মাধ্যমে মেশিন চলায় কর্মীদের খুব বেশি কষ্ট করতে হবে না। আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন ওই মেশিনে স্প্রের স্পিড আগের তুলনায় বাড়বে। তিনি আরও বলেন, করোনা ভাইরাসের মোকাবিলায় আমরা সজাগ রয়েছি। শহরে ওই রোগের প্রকোপ যাতে না বাড়ে তারজন্য সবধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, মালদহে ইতিমধ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা পঞ্চাশের গণ্ডি ছাড়িয়ে গিয়েছে। যেভাবে দিনদিন রোগীর সংখ্যা বাড়ছে তাতে এজেলায় মারণ ভাইরাস কিছুদিনের মধ্যে সেঞ্চুরি হাঁকাবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। ইংলিশবাজার ব্লকের যদুপুর ও পুরাতন মালদহ ব্লকের মুচিয়া, যাত্রাডাঙা প্রভৃতি এলাকায় করোনা থাবা বসিয়েছে। বাইরে থেকে আসা পরিযায়ী শ্রমিকদের মাধ্যমে ওইসব এলাকায় করোনা ভাইরাস ঢুকে পড়েছে। ওইসব এলাকা থেকে ইংলিশবাজার শহর খুব বেশি দূরে নয়। তাছাড়া ইংলিশবাজার শহর গ্রামকেন্দ্রিক। আশপাশের গ্রামীণ এলাকার সঙ্গে ইংলিশবাজারের নিবিড় যোগাযোগ রয়েছে। ওইসব এলাকা থেকে দুধ, সব্জি প্রভৃতির জোগান আসে শহরে। এছাড়াও পরিযায়ী শ্রমিকদের শহরের গৌড়কন্যা বাস স্ট্যান্ডে এনে নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। সেখান থেকে নেওয়া নমুনা পরীক্ষার পর অনেকেরই করোনা পজিটিভ ধরা পড়ছে। ফলে যে কোনও সময় শহরে ভাইরাসের উপস্থিতি টের পাওয়া যেতে পারে বলে চিকিৎসকরা মনে করছেন।
এক পুর কর্তা বলেন, শহরে কোনও কারণে ভাইরাস এলেও দ্রুত তা যাতে বিনাশ হয় তার জন্যই স্যানিটাইজেশন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। দমকলের মাধ্যমে শহরের বড় রাস্তাঘাট এবং মোড়গুলি এতদিন জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছিল। স্প্রে মেশিনের সাহায্যে এবার ছোট রাস্তার পাশাপাশি বাজার-হাট, হাসপাতালের অলিগলিও জীবাণুমুক্ত করা হবে। এই উদ্যোগ ফলপ্রসূ হবে বলেই আমাদের অনুমান। এমনকি কেউ যদি বাড়ির আঙিনার মধ্যেও জীবানুনাশক স্প্রে করতে চান, তাও করা হবে।