কর্মক্ষেত্রে সহকর্মীর ঈর্ষার কারণে সম্মানহানি হবে। ব্যবসায়ীদের আশানুরূপ লাভ না হলেও মন্দ হবে না। দীর্ঘ ... বিশদ
ময়নাগুড়ি হাটের ব্যবসায়ী সমীর সাহা, সঞ্জয় সাহারা বলেন, আমরা একাধিকবার ব্যবসায়ী সমিতিকে এব্যাপারে বলেছি যে জল জমার কারণে আমাদের ব্যবসা করতে অসুবিধা হচ্ছে। শুক্রবারের সামান্য বৃষ্টিতেই আমাদের দোকানের সামনে জল জমে গিয়েছে। জল নিকাশির কোনও ব্যবস্থা নেই। এভাবে জল জমে থাকায় ক্রেতারা দোকানে আসতে পারছেন না। এতে ব্যবসায় ক্ষতি হচ্ছে। ময়নাগুড়ি নতুন বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক সিদ্ধার্থ সরকার বলেন, এই কর্মতীর্থ ভবনে প্রচুর কাজ অসমাপ্ত রয়েছে। ঠিকাদার সংস্থাকে বহুবার আমরা এব্যাপারে জানিয়েছি। তার ফল কিছুই হয়নি। জেলা পরিষদকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। অনেক দোকানের ছাদে জল জমছে। ছাদে এখনও রেইন পাইপ লাগানো হয়নি। ফলে ছাদ থেকে সর্বত্র জল পড়ছে। এতে করিডরগুলিতে জল জমছে। শৌচাগার এখনও তৈরি হয়নি। নিকাশি ব্যবস্থা বেহাল হয়ে রয়েছে। বিভিন্ন দোকানে এরই মধ্যে ফাটল দেখা দিয়েছে। আরও কিছু দোকান ঘরের কাজ অসমাপ্ত হয়ে রয়েছে। তাঁদের আমরা জায়গা দিতে পারছি না। এই কমপ্লেক্সের কাজ অনেক দিন আগেই শেষ হওয়ার কথা ছিল। ঠিকাদার সংস্থা অপরিকল্পিত ভাবে কাজ করেছে। এখন তারা লকডাউনের কথা বলছে। এই কাজ ২০১৭ সালের জুনে শুরু হয়েছিল। আমরা চাইছি এবছর পুজোর আগে সমস্ত কাজ শেষ করে ব্যবসায়ীদের হাতে তুলে দেওয়া হোক।
নির্মাণ সংস্থার পক্ষে ঠিকাদার ডব্লু হক বলেন, লকডাউনের জন্য পাথর, বালি পাওয়া যাচ্ছে না । এছাড়াও অল্প কিছু শ্রমিক আগের জমান কিছু সামগ্রী দিয়ে কাজ করছে। নিকাশি সমস্যা দ্রুত সমাধান করা হবে। অসমাপ্ত কাজ দ্রুত শেষ করার চেষ্টা চলছে। শৌচাগারের কাজও শুরু হয়েছে। এস্টিমেট হয়ে গিয়েছে। লকডাউনের পর আমরা পুরোদমে কাজ করব। জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা বর্মন বলেন, আমি নিজে গিয়ে ওই কাজের তদন্ত করব। জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি দুলাল দেবনাথ বলেন, কাজের মান দেখতে শীঘ্রই কর্মতীর্থ ভবন পরিদর্শনে যাব। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করব।