কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
এদিন হিতেনবাবু বলেন, বর্তমানে করোনা পরিস্থিতির কারণে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে সমস্তরকম দলীয় কর্মসূচি স্থগিত রাখা হয়েছে। কিন্তু শীতলকুচি ব্লকের তৃণমূল নেতা সাহের আলি মিঁয়া কাউকে কিছু না জানিয়ে ব্লকের আটটি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েতে কমিটি গঠন করেছেন। এতে দলের কর্মীদের মধ্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। দলের শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য জেলা ও রাজ্য নেতৃত্বকে এটা জানানো হয়েছে। জেলা নেতৃত্ব সাহের আলি মিঁয়াকে শো কজ করেছে। সাতদিনের মধ্যে সন্তোষজনক জবাব না দিতে পরলে দল ওঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেবে।
এ ব্যাপারে সাহের আলি মিঁয়া বলেন, আমি শো কজের চিঠি পেয়েছি। জেলা নেতৃত্বকে যথা সময়ে উপযুক্ত কারণ জানিয়ে দেব। হিতেনবাবু এখন অনেক কিছুই বলতে পারেন। তবে আমি এখনই কিছু বলছি না। কয়েকদিনের মধ্যে সাংবাদিক সম্মেলন করে আমি সমস্ত বিষয়টি পরিষ্কার করে দেব।
সাহের আলি মিঁয়া শীতলকুচি ব্লকে বরাবরই তৃণমূলের ডাকসাইটে নেতা হিসেবে পরিচিত। বিগত পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ডে তিনি কৃষি কর্মাধ্যক্ষ ছিলেন। তৃণমূলের কিষাণ ক্ষেতমজুর ও শ্রমিক সংগঠনের ব্লক সভাপতি পদেও তিনি একসময়ে ছিলেন। যদিও এর আগেও তাঁকে দল বিরোধী কাজের জন্য দল সাসপেন্ড করেছিল। কিন্তু তাঁর দলে গুরুত্ব থাকায় পরবর্তীতে ফের তাঁকে দলে জায়গা দেওয়া হয়। কিন্তু বারবার ব্লক সভাপতির সঙ্গে তিনি দ্বন্দ্বে জড়িয়ে যাওয়ায় দীর্ঘসময় একঘরে হয়েছিলেন। গত লোকসভা ভোটের পর বেশিরভাগ তৃণমূল নেতা নিষ্ক্রিয় হয়ে গেলে তিনি ময়দানে ফিরে আসেন। পরবর্তীতে তৃণমূল বিধানসভা ভিত্তিক কমিটি গঠন করে। সেই কমিটিতে সাহের আলি মিঁয়াকেও রাখা হয়। এরপরেই ব্লকে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করতে ময়দানে নেমে পড়েন তিনি। অচমকাই বিধানসভা ভিত্তিক কমিটির চেয়ারম্যানকে কিছু না জানিয়েই তিনি ছোট শালবাড়ি, গোলেনাওহাটি ও শীতলকুচি অঞ্চলের কমিটি গঠন করেন। ওই কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করেই বিতর্ক শুরু হয়েছে। যার ফলস্বরূপ তাঁকে জেলা সভাপতি শো কজ করেছেন।
জেলা সভাপতি বলেন, হিতেনবাবু বিধানসভা এলাকার সাংগঠনিক চেয়ারম্যান। তিনি সাহের আলি মিঁয়ার বিরুদ্ধে রাজ্য নেতৃত্বকে নালিশ করেছেন। আমি রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশে ওঁকে শো কজ করেছি। সঠিক জবাব না পেলে দল থেকে ওঁকে বহিষ্কার করা হবে।