পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
ইসলামপুর পুলিস জেলার সুপার সচিন মক্কর বলেন, আপাতত আমারা আক্রান্তদের রায়গঞ্জে কোভিড হাসপাতালে পাঠিয়ে দিয়েছি। তাঁদের ‘প্রাইমারি কন্টাক্ট’ যাঁদের সঙ্গে আছে, তাঁদেরও কোয়ারেন্টাইন করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য দপ্তরের নির্দেশ অনুসারে কন্টেইনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হবে।
ঘিরনিগাঁও পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূলের জ্যোতিষচন্দ্র দাস বলেন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য হাটে বাজারে প্রচার করা হলেও মানুষ মানছিলেন না। কিন্তু আক্রান্তের খবর আসার পর এদিন থেকেই অনেকে সচেতন হচ্ছেন। যে সমস্ত পরিযায়ী শ্রমিক হাটে বাজারে ঘোরাফেরা করছিলেন, স্থানীয়রাই তাঁদের বাড়িতে থাকার অনুরোধ করছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৩ মে হরিয়ানার গুরগাঁও এলাকা থেকে পরিযায়ী শ্রমিক বোঝাই একটি বাস চোপড়ায় আসে। ওই বাসে ৫৬ জন শ্রমিক ফিরেছিলেন। তাঁদের চোপড়া কলেজে তৈরি করা কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রাখা হয়। এর পরে সেখানেই তাঁদের লালরস সংগ্রহ করা হয়। লালারস পরীক্ষার রিপোর্ট আসার আগেই গত রবিবার তাঁরা বাড়ি ফিরে যান। এদিকে পজিটিভ রিপোর্ট আসার পরেই প্রশাসন আক্রান্তদের বাড়ি থেকে অ্যাম্বুলেন্সে তুলে রায়গঞ্জে কোভিড হাসপাতালে পাঠায়। অন্যদিকে, চাকুলিয়ার আক্রান্ত যুবক সহ মোট ১৫ জন পরিযায়ী শ্রমিক গুরগাঁও এলাকা থেকে ১৫ মে গ্রামে ফিরেছিলেন। গ্রামে আসার পরে তারা পাড়ার একটি এমএসকে সেন্টারে ছিলেন। সেখানে দু’দিন থাকার পরে লালরসের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠান হয়। এর পরে থেকে শ্রমিকরা বাড়িতেই থেকেছেন। এবার রিপোর্ট পজেটিভ আসায় ওই শ্রমিককে প্রশাসন হাসপাতালে পাঠিয়েছে। আক্রান্তদের পরিবারের সদস্যদেরও কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পাঠানো হচ্ছে। তাঁদেরও লালারস সংগ্রহ করা হরে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।
প্রথম দিকে জেলার রায়গঞ্জে একের পর এক আক্রান্তের খবর আসছিল। সম্প্রতি ইসলামপুর মহকুমার করণদিঘিতে আক্রান্তের হদিশ মিলতেই মহকুমায় উদ্বেগ তৈরি হয়। এবার একই দিনে চোপড়া ও চাকুলিয়াতে আক্রান্তের হদিশ মেলায় ওই দুই থানা এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে গোটা মহকুমাজুড়েই উদ্বেগ ছড়িয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, করোনার মোকাবিলায় প্রশাসন আরও কঠোর পদক্ষেপ করুক। ইসলামপুর শহরে অনেক ক্ষেত্রেই সামাজিক দূরত্ব বজায় থাকছে না। ফলে সংক্রমণের আশঙ্কা থাকছে।