কর্মক্ষেত্রে সহকর্মীর ঈর্ষার কারণে সম্মানহানি হবে। ব্যবসায়ীদের আশানুরূপ লাভ না হলেও মন্দ হবে না। দীর্ঘ ... বিশদ
শিশুটির বাবা মৌখিকভাবে খুনের অভিযোগ করেছেন তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে। যদিও শিশুর মা দাবি করেছেন, মাতৃদুগ্ধ খাওয়ানোর সময় কোনও কারণে এই ঘটনা ঘটেছে। ওই গৃহবধূর স্বামী বলেন, আমার স্ত্রীর সঙ্গে আমার ঝগড়া চলছিল। তারপর তার দিদি এবং জামাইবাবু তাকে তাদের বাড়িতে নিয়ে গিয়েছিল। এদিন হঠাৎ সে বাড়িতে আসে। এখানে এসে আমার সন্তানকে মৃত অবস্থায় বাড়িতেই ফেলে দিয়ে সে পালানোর চেষ্টা করে। পরে পাড়ার লোক ধরে তাকে আবার বাড়িতে নিয়ে আসে। পুলিসকে খবর দেওয়া হয়। পুলিস এলে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। আমি আমার স্ত্রীর শাস্তি চাইছি।
যদিও অভিযুক্ত ওই গৃহবধূ বলেন, এদিন ভোর রাতে দুধ খাওয়াতে গিয়ে হঠাৎ ছেলের মুখ থেকে রক্ত বের হতে দেখি। তা দেখে খুব ভয় পেয়ে যাই এবং তারপর ছেলেকে শ্বশুর বাড়িতে নিয়ে আসি। টোটোতে আসার সময় আমার ছেলে মরে গিয়েছিল। আমি কোনওভাবেই তাকে খুন করিনি। আমি বাড়িতে আসার পর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা আমাকে চলে যাওয়ার জন্য বারবার চাপ দিতে থাকে। তখন ভয় পেয়ে আমি শ্বশুরবাড়ি থেকে চলে যাই।
প্রতিবেশী মামনি শর্মা বলেন, আমি ঘুম থেকে উঠে দেখি এই বাড়িতে খুব ঝগড়াঝাঁটি চলছে। খবর নিয়ে জানতে পারি যে নিজের সন্তানকে মেরে বাড়িতে ফেলে রেখে পালিয়ে যাচ্ছিল ওই মহিলা। এত ছোট শিশুর সঙ্গে এধরনের কাজ অত্যন্ত অন্যায়।
কর্ণজোড়া ফাঁড়ির পুলিস জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত কোনও লিখিত অভিযোগ জমা পড়েনি। যদিও ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান প্রশান্ত দাস বলেন, আমি শুনেছি যে নিজের শিশুকে মেরে এক মহিলা পালিয়ে যাচ্ছিল। সেই খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে এসেছি। এখানে এসে দেখতে পাই যে খুব ঝগড়াঝাঁটি চলছে। বিষয়টি জানিয়ে কর্ণজোড়া থানার পুলিসের দ্বারস্থ হয়েছি।
স্থানীয় বাসিন্দা এবং ওই গৃহবধূর স্বামীর অভিযোগ, বিবাদের জেরে শিশুপুত্রকে বালিশ চাপা দিয়ে খুন করেছে মা ও মাসী। পুলিশ এলে স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযুক্ত মা ও মাসীকে পুলিশের হাতে তুলে দেন।