গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
বৃহস্পতিবার রাতে হরিরামপুরের গোকর্ণ কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে নিম্নমানের খাওয়ার দেওয়ার অভিযোগে সেন্টার থেকে বেরিয়ে যান প্রায় পঞ্চাশ জন পরিযায়ী শ্রমিক। ঘটনার খবর পেয়ে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে যায় হরিরামপুর থানার পুলিস বাহিনী। পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছলে পুলিসকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখান ক্ষুব্ধ পরিযায়ী শ্রমিকরা। শ্রমিকদের একাংশ নিম্নমানের খাদ্যের অভিযোগ তুলে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিস ক্ষুব্ধ পরিযায়ীদের বুঝিয়ে কোনওরকমে তাঁদের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে ঢোকানোর ব্যবস্থা করে। ঘটনার বিবরণ দিয়ে জেলাশাসক ও মহকুমা শাসককে লিখিতভাবে জানিয়েছেন থানার আইসি। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, এই নিয়ে ছয় বার নিম্নমানের খাওয়ার দেওয়ার অভিযোগে পরিযায়ী শ্রমিকদের বিক্ষোভ সামনে এসেছে।
হরিরামপুর থানার আইসি সঞ্জীব বিশ্বাস বলেন, বারবার নিম্নমানের খাওয়ার দেওয়ার অভিযোগ এসেছে হরিরামপুরের ফেসিলিটি কোয়ারেন্টাইন থেকে। পরিযায়ী শ্রমিকদের বিক্ষোভ সামাল দিতে ঘটনাস্থলে যেতে হচ্ছে পুলিসকে। ক্ষুব্ধ পরিযায়ী শ্রমিকেরা হাতের সামনে পুলিসকে পেয়ে তাদের কাছেই ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন। কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে খাওয়ার দেওয়ার দায়িত্বে রয়েছে হরিরামপুর ব্লক প্রশাসন। একাধিকবার খাওয়ারের বিষয় ব্লক প্রশাসনকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতের ঘটনা লিখিতভাবে জেলা প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
গঙ্গারামপুরের মহকুমা শাসক মানবেন্দ্র দেবনাথ বলেন, আমি অভিযোগ পেয়েছি। হরিরামপুর থানার আইসি বিস্তারিত ঘটনা তুলে ধরে আমাকে রিপোর্ট পাঠিয়েছেন। নিম্নমানের খাওয়ার দেওয়া একদম বরদাস্ত করা যাবে না। আমি হরিরামপুরের বিডিওকে বিষয়টি দেখার জন্য বলেছি। বারবার খাওয়ার নিয়ে অভিযোগ সামনে এসেছে। ভারপ্রাপ্ত স্বনির্ভর দলকে বলেও কোনও কাজ হয়নি। খাওয়ারের দায়িত্ব অন্য ব্লকের স্বনির্ভর দলকে দেওয়ার কথা বলেছি। ব্লক প্রশাসন যাতে খাওয়ারের বিষয়ে নজরদারি চালায়, সেটাও বলা হয়েছে। আশা করি, এই সমস্যা আর হবে না।
পরিযায়ী শ্রমিক সাদ্দাম হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে অসিদ্ধ খাবার দেওয়া হয়েছিল। সব্জির কোনও স্বাদ নেই। আমরা শ্রমিক হতে পারি, কিন্তু এত খারাপ খাওয়ার খাওয়া যায় না। রাতে দুর্গন্ধযুক্ত ভাত দিয়েছে। কোনও মানুষই খেতে পারবে না। আমরা খাওয়ার না খেয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছি। হরিরামপুর থানার পুলিস ঘটনাস্থলে এসেছিল। আমরা কোয়ারেন্টাইন সেন্টার থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলাম। পুলিসকে সমস্ত বিষয় জানানো হয়েছে। শ্রমিকরা অভুক্ত থেকে রাত কাটিয়েছেন। প্রশাসন খাওয়ার না দিতে পারলে বলে দিক। আমাদের বাড়ি থেকে খাওয়ার নিয়ে এসে আমরা খাব।
হরিরামপুরে তিনটি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে খাওয়ারের দায়িত্ব রয়েছে হরিরামপুর ব্লক প্রশাসনের হাতে। জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের দেওয়া মেনু অনুযায়ী খাওয়ার দেওয়ার নির্দেশ রয়েছে ফেসিলিটি সেন্টারে । একজনের একদিনের মিলের পেছনে ১০০ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। তাও কি করে নিন্মমানের খাওয়ারের অভিযোগ আসে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।