পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
রায়গঞ্জ পুরসভার চেয়ারম্যান সন্দীপ বিশ্বাস বলেন, রায়গঞ্জ পুর এলাকায় ঝড়-বৃষ্টির খুব বেশি প্রভাব পড়েনি। তবুও আমরা সর্বদা সতর্ক হয়ে রয়েছি। শহরের সমস্ত কাউন্সিলারদের কাছে অতিরিক্ত পরিমাণ চাল, খাদ্যসামগ্রী ও ত্রিপল পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। যে কোনওরকমের পরিস্থিতিতে তার মোকাবিলা করা যাবে বলে আমাদের ধারণা।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রায়গঞ্জ শহরে ছোট-বড় বেশ কিছু দোকান ও কয়েকটি গয়নার দোকান খোলা হলেও দুপুর গড়াতেই সেগুলো আবার বন্ধ হয়ে যায়। রায়গঞ্জ শহরের মোহনবাটি, সুপার মার্কেট, শিলিগুড়ি মোড়, কলেজপাড়া, রাসবিহারী মার্কেট, দেবীনগর প্রভৃতি এলাকার বাজারে তেমনভাবে ক্রেতাদের দেখা যায়নি। তবে এই প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও রায়গঞ্জ পুর এলাকায় লোডশেডিংয়ের সমস্যা দেখা না দেওয়ায় স্বস্তিতে ছিলেন সাধারণ মানুষ। সকাল থেকেই লাগাতার বৃষ্টির ফলে শহরের রাজপথ ছিল জনমানবশূন্য। রাস্তাঘাটে জল জমলেও শহরের মানুষ ঘরবন্দি অবস্থায় থাকায় বেশি হয়রানির মুখে পড়তে হয়নি শহরবাসীকে। শহরের আশা টকিজ মোড় এলাকায় ঝড়ের দাপটে একটি গাছ উপড়ে পড়ে যায়।
অন্যদিকে, ঝড়-বৃষ্টির জেরে উত্তর দিনাজপুর জেলায় বোরো চাষে ক্ষতি হয়েছে। উত্তর দিনাজপুর জেলার উপ কৃষি অধিকর্তা(প্রশাসন) বিপ্লব ঘোষ বলেন, জেলায় ৫৫ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো চাষ হয়েছে। আমাদের অনুমান, মোট জমির দুই থেকে চার শতাংশ জমির ফসল ক্ষতির মুখে পড়বে। এখনও পর্যন্ত সরজমিনে খতিয়ে দেখে ব্লক থেকে বিস্তারিত রিপোর্ট আসেনি। তবে ধানের ক্ষেত্রে ক্ষতি হলেও পাট চাষের ক্ষেত্রে এই বৃষ্টি কাজে লাগবে বলে মনে করা হচ্ছে। পাট চাষের এই পর্যায়ে জমিতে জল জমলে তাতে চাষেরই লাভ হবে। ভুট্টার ক্ষেত্রে ফলনজনিত কোনওরকম ক্ষতি না হলেও অসময়ের এই ঝড় বৃষ্টির কারণে ভুট্টায় ছত্রাকের আক্রমণ হতে পারে। সে ক্ষেত্রে আমরা চাষিদের প্রয়োজনীয় রাসায়নিক ব্যবহারের পরামর্শ দেব।
জেলার হেমতাবাদ ব্লক কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ব্লকের চৈনগর, বিষ্ণুপুর নওদা, বাঙালবাড়ি, হেমতাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বোরো চাষে কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। ভুট্টার জমি থেকে তোলার সময় এসে গিয়েছে। তোলার কাজ চলছে। পাশাপাশি, বুধবার গভীর রাতে লাগাতার ঝড় বৃষ্টির জেরে বৃহস্পতিবার স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে জেলার ইটাহার ব্লকের স্বাভাবিক জনজীবন। রাস্তাঘাটে সকাল থেকেই কোনও মানুষজনের দেখা পাওয়া যায়নি। লকডাউনের পরিস্থিতিতে সকালবেলায় সামাজিক দূরত্ব মেনে যেসব সব্জি বাজার বসেছিল, সেখানেও তেমন বেচাকেনা হয়নি।