পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
শিলিগুড়ি শহর সংলগ্ন মাটিগাড়া এলাকায় ওই যুবকের বাড়ি। স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রের খবর, গত ১৬ মে ওই যুবক গুয়াহাটিতে গিয়েছিলেন। সেখানেই তাঁর সোয়াব সংগ্রহ করে টেস্ট করার পর করোনা পজেটিভ মিলেছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে শিলিগুড়ি মহকুমা প্রশাসন ও দার্জিলিং জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের কাছে ওই রিপোর্ট পাঠায় গুয়াহাটি স্বাস্থ্য দপ্তর। এরপর রাত ৮টা নাগাদ ওই যুবককে বাড়ি থেকে কোভিড হাসপাতালে নিয়ে যান স্বাস্থ্যকর্মীরা। এ নিয়ে কোভিড হাসপাতলে রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল সাতজন।
স্বাস্থ্য দপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, গত ১৮ মে গুয়াহাটি থেকে শিলিগুড়িতে এসেছেন ওই যুবক। তাঁর মধ্যে করোনার প্রাথমিক কোনও লক্ষণ মেলেনি। এটাই চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পাশাপাশি ওই যুবকের পরিবারের সদস্য এবং প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে তাঁর সংস্পর্শে আসা বাসিন্দাদের চিহ্নিত করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার শিলিগুড়ি শহরের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে এক ফল বিক্রেতা ও ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে এক ব্যবসায়ী করোনা আক্রান্ত হন। মঙ্গলবার ফল ব্যবসায়ীর ছেলে আক্রান্ত হন। এদিন মাটিগাড়ার ওই যুবক আক্রান্ত হওয়ায় বিভিন্ন মহলে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে। আতঙ্কিত বাসিন্দাদের বক্তব্য, লকডাউন শিথিল হওয়ায় এখানে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য দপ্তর ও প্রশাসনের নজর দেওয়া উচিত।
স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রের খবর, ওই চারজন নিয়ে দেড় মাসে জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১০ জন। একজনের মৃত্যু হয়েছে। দার্জিলিং জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ প্রলয় আচার্য জানান, সমগ্র পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হয়েছে। করোনা আক্রান্ত অনেকেই সুস্থ হয়ে উঠেছেন। করোনা মোকাবিলায় উত্তরবঙ্গে নিযুক্ত ওএসডি ডাঃ সুশান্তকুমার রায় বলেন, লকডাউন ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে সকলকে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। তবে করোনা নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। এখানকার চিকিৎসায় অধিকাংশই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
অন্যদিকে, এদিনই শিলিগুড়ির সারি হাসপাতালে ভর্তি এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে। স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রের খবর, শ্বাসকষ্ট নিয়ে ওই রোগী বুধবার সারি হাসপাতালে ভর্তি হন। এ নিয়ে ওই হাসপাতালে বেশ কয়েকজন সন্দেহভাজন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, এদিন মৃত ওই রোগীর সোয়াব টেস্টের জন্য মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। টেস্ট রিপোর্ট পাওয়ার পর এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।