গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
কোচবিহারে পুরসভায় প্রশাসক হচ্ছেন পুরসভার বিদায়ী চেয়ারম্যান তৃণমূল কংগ্রেসের ভূষণ সিং। প্রশাসক বোর্ডের সদস্য করা হয়েছে ভাইস চেয়ারপার্সন আমিনা আহামেদ। পুরসভার সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁরা আজ, শুক্রবার দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। অন্যদিকে দিনহাটা পুরসভায় প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান করা হয়েছে বিদায়ী চেয়ারম্যান বিধায়ক উদয়ন গুহকে। বোর্ডের সদস্য করা হয়েছে ভাইস চেয়ারম্যান শুভময় চক্রবর্তীকে। তাঁরা এদিনই দায়িত্ব বুঝে নেন। মাথাভাঙায় পুরসভার প্রশাসক পদে বসা বিদায়ী চেয়ারম্যান লক্ষপতি প্রামাণিক এবং বোর্ড সদস্য ভাইস চেয়ারম্যান চন্দন দাস এদিনই দায়িত্ব গ্রহণ করেন। প্রসঙ্গত, দিনহাটা ও মাথাভাঙা পুরসভার প্রশাসক ও বোর্ড সদস্যের নামে বুধবার রাতে জেলায় এসে পৌঁছয়।
কোচবিহার পুরসভার বিদায়ী চেয়ারম্যান বলেন, এদিনই পুরভবনে রাজ্য থেকে প্রশাসকমণ্ডলীর চিঠি এসেছে। আমাকে প্রশাসক করা হয়েছে এবং আমিনা আহামেদকে বোর্ডের সদস্য করা হয়েছে। শুক্রবার বোর্ডের সভা ডাকা হয়েছে। সেখানেই দায়িত্ব নেব। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমার উপর আস্থা রেখে আমাকেই প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ করায় আমি তাঁর কাছে কৃতজ্ঞ। লকডাউনের জন্য কিছু কাজ আটকে আছে। সামনেই বর্ষাকাল, তাই যেসব কাজ জরুরি তা অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে করার পরিকল্পনা করব।
অন্যদিকে, দিনহাটা পুরসভা গঠনের পর ১৯৮১ সালে প্রথম পুরভোট হয়। সেই থেকে গত পুরসভা নির্বাচনেও একক সংখ্যা গরিষ্ঠতায় পুরবোর্ড দখল করে রাখে বামেরা। ২০১৫’র পুরভোটে ১৬টি আসনের মধ্যে ফব ১০টি, সিপিএম ও তৃণমূল তিনটি করে আসনে জয়ী হয়েছিল। ১৫ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জয়ী হয়েছিলেন প্রাক্তন কৃষিমন্ত্রী কমল গুহের ছেলে উদয়নবাবু। তিনি পুরসভার চেয়ারম্যান হন এবং ভাইস চেয়ারম্যান হন ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএমের শুভময় চক্রবর্তী। ওই বছরের শেষের দিকে ফব ছেড়ে তৃণমূলে যান উদয়ন। তাঁর সঙ্গে তৃণমূলে যোগ দেন ফব’র বাকি আট কাউন্সিলার ও সিপিএমের শুভময়বাবু। এদিন তাঁরা দু’জনই দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।
এদিকে, এদিন মাথাভাঙা পুরভবনে প্রশাসক ও প্রশাসক বোর্ডে সদস্য হিসেবে দায়িত্ব নেন বিদায়ী চেয়ারম্যান লক্ষপতিবাবু ও ভাইস চেয়ারম্যান চন্দন দাস। পুরসভার এগজিকিউটিভ অফিসার অমলেন্দু শেখর নস্কর চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণীকল্যাণ ও আদিবাসী উন্নয়নমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন। পরে প্রশাসক বলেন, শহরে করোনা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য যে উদ্যোগ নিয়েছিলাম তা ধারাবাহিকভাবে চালিয়ে যাব। সরকারের নির্দেশিকা মেনে উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কাজ মসৃণভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।
মন্ত্রী বলেন, পুরসভার চেয়ারম্যান প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন। ওঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছি। একইসঙ্গে প্রশাসককে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যাতে শহরের উন্নয়নমূলক কাজগুলি ধারাবাহিকভাবে চলে। পুরসভার কর্মচারীরাও এদিন প্রশাসককে সংবর্ধনা দেন।