পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
শিলিগুড়ি শহরের গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক ভবনগুলির মধ্যে পুরভবন অন্যতম। দৈনিক এই ভবনে প্রচুর মানুষের সমাগম হয়। ইতিমধ্যে ভিড় এড়াতে পুরভবনের প্রবেশদ্বারে নিরাপত্তাকর্মীর সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। গেটের সামনে রাখা হয়েছে হ্যান্ড স্যানিটাইজার। বোর্ডের চেয়ারম্যান সহ আধিকারিকদের ঘরে চেয়ারের সংখ্যা কমানো হয়েছে। এবার ভবনের সব কর্মীর সোয়াব টেস্টের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পুরসভা সূত্রের খবর, বর্তমানে এই ভবনে কমিশনার, সচিব, ইঞ্জিনিয়ার সহ আটজন অফিসার এবং ৫০০ কর্মী রয়েছেন। বুধবার অফিসার ও কর্মীদের সোয়াব টেস্টের ব্যাপারে বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে আধিকারিকরা প্রস্তাবও দেন।
পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান অশোক ভট্টাচার্য বলেন, করোনা মোকাবিলায় আধিকারিক ও তিনটি কর্মচারী সংগঠন সমস্ত কর্মীর সোয়াব টেস্টের প্রস্তাব দিয়েছে। এ ব্যাপারে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের সঙ্গে কথা হয়েছে। শীঘ্রই ওই প্রস্তাব বাস্তবায়িত করা হবে।
অন্যদিকে, দু’দিন আগে শহরের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ডাঙিপাড়ার এক ফল ব্যবসায়ী ও তাঁর ১০ বছরের ছেলে এবং ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের এক ব্যবসায়ী করোনা আক্রান্ত হন। শিলিগুড়ির কোভিড হাসপাতালে তাঁদের চিকিৎসা চলছে। পুরসভা ও স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ফল ব্যবসায়ীর সংস্পর্শে আসা ১৩ জনকে এবং ২৭ ওয়ার্ডের ব্যবসায়ীর সংস্পর্শে আসা সাতজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাঁদের সোয়াবের নমুন সংগ্রহ করে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ভিআরডিএলে পাঠানো হয়। এদিন তাঁদের প্রত্যেকের টেস্ট রিপোর্টে করোনা নেগেটিভ এসেছে।
প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, ওই সোয়াবগুলির টেস্ট রিপোর্ট নেগেটিভ হওয়ায় কিছুটা স্বস্তি মিলেছে। তা হলেও সংশ্লিষ্ট দু’টি এলাকার উপর নজর রাখা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি অনুসারে ওই বাসিন্দাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এলাকাগুলির সমস্ত বাসিন্দাদের সোয়াবের নমুনা সংগ্রহ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর ও প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলব। এছাড়াও শহরের ৪, ৪৪ ও ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সোয়াব সংগ্রহের কিয়স্ক বসানো হয়েছে। সেগুলিতে একজন করে টেকনিশিয়ান রয়েছেন। এ ধরনের কিয়স্ক আরও বেশকিছু এলাকায় চালু করা হবে।
অন্যদিকে, ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে করোনা আক্রান্ত ব্যবসায়ীর সংস্পর্শে আসা আরও কয়েকজনকে এখনও চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি বলে স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রের জানা গিয়েছে। স্বাস্থ্য দপ্তর জানিয়েছেন, এদিন ওই এলাকায় আরও ছ’জনের সোয়াব সংগ্রহ করে তা পরীক্ষার জন্য মেডিক্যালে পাঠানো হয়েছে। তাঁদের রিপোর্ট আজ, শুক্রবার মিলবে। স্বাস্থ্যবিধি অনুসারে ১৪ দিনের মাথায় ওই বাসিন্দাদের আবার সোয়াব টেস্ট করা হবে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ প্রলয় আচার্য বলেন, প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের ওই ব্যবসায়ীর সংস্পর্শে আসা আরও কয়েকজনের খোঁজ মিলেছে। তাঁদেরও সোয়াব সংগ্রহ করা হবে।