কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
এদিকে উত্তর দিনাজপুর জেলায় আরও এক করনা আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গেল। আক্রান্ত ব্যক্তি পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে ভিন রাজ্যে কাজ করতে গিয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। উত্তর দিনাজপুর জেলার বিন্দোল গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা ওই শ্রমিক চারদিন আগে মোটর বাইকে চেপে ভিন রাজ্য থেকে গ্রামে পৌঁছেছিলেন বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। সেদিনই তাঁর লালারস পরীক্ষা করার জন্য নেওয়া হয়েছিল। বুধবার রাতে মালদহ মেডিকেল কলেজ থেকে ওই ব্যক্তির করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে পাওয়া যায়। বৃহস্পতিবার তাঁকে রায়গঞ্জের কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মালদহ মেডিকেল কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত মঙ্গলবার ও বুধবার খুবই অল্প সংখ্যক সোয়াব মালদহে পাঠানো হয়েছিল। বুধবার পাঠানো হয়েছে ২০টিরও কম নমুনা। যেখানে মালদহ এবং দক্ষিণ দিনাজপুরের নমুনার সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ৭০১ এবং ৯২ টি। মঙ্গলবার পাঠানো হয়েছিল প্রায় ৫০টি নমুনা। যেখানে মালদহ এবং দক্ষিণ দিনাজপুরের নমুনার সংখ্যা ছিল ৫৩৮ এবং ১৩৯ টি। অথচ তার আগে এই জেলা থেকেই ৮০০-রও বেশি নমুনা পাঠানো হয়েছিল। কেন সোয়াব সংগ্রহে এই ভাঁটা পড়েছে সেবিষয়ে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রবীন্দ্রনাথ প্রধান কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
একদিকে দিনের পর দিন যেভাবে পরিযায়ী শ্রমিকরা ঘরে ফিরছেন এবং তাঁদের মধ্য থেকে একের পর এক আক্রান্তের সংখ্যা যেভাবে বাড়ছে, তা নিয়ে নানা মহলে রীতিমত উদ্বেগ বাসা বেঁধেছে জেলাবাসীর মধ্যে। বিভিন্ন এলাকা দিয়ে কখনও ট্রেনে চেপে, কখনও পায়ে হেঁটে, কখনও বা সাইকেলে চেপে শ্রমিকরা ঘরে ফিরছেন। ঠিক তখনই এভাবে লালারসের নমুনা সংগ্রহের সংখ্যা কমে যাওয়ায় খুব স্বাভাবিকভাবেই এই প্রক্রিয়ার শিথিলতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে নানা মহলে। যদিও প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকদের একাংশের দাবি, যেহেতু প্রচুর পরিমাণে লালারসের নমুনা এখনও পর্যন্ত অপরীক্ষিতভাবে মালদহ মেডিকেল কলেজে পড়ে রয়েছে। তাই সেই নমুনাগুলোর রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত নতুন নমুনা সেখানে পাঠালে তা পড়ে থেকে থেকে নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। সে কারণেই এই নমুনা সংগ্রহের প্রক্রিয়া কিছুটা শিথিল করা হয়েছে। বকেয়া নমুনাগুলির রিপোর্ট চলে এলে আবার নমুনা সংগ্রহে জোর দেওয়া হবে। প্রতিদিন জেলা থেকে বেশি বেশি করে নমুনা মালদহে পাঠানো হবে। যদিও বিষয়টি নিয়ে স্পষ্টভাবে জেলা প্রশাসন বা জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের কেউ কোনও মন্তব্য করতে চাননি।