পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বুধবার মালদহ মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো সোয়াব পরীক্ষার রিপোর্টে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওই যুবকের দেহে করোনা ভাইরাসের খোঁজ মিলেছে বলে জানা গিয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে আক্রান্ত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর বালুরঘটের রঘুনাথপুরে অবস্থিত কোভিভ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই তাঁর চিকিৎসা শুরু হয়েছে। জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, আক্রান্ত ব্যক্তি পরিযায়ী শ্রমিক। তিনি হরিয়ানা থেকে সম্প্রতি জেলায় ফিরেছেন।
প্রসঙ্গত, জেলায় চারজন করোনা আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গেলেও এই প্রথম কোনও রোগীকে ভর্তি করা হল জেলার কোভিড হাসপাতালে। কারণ প্রথম তিনজনকে এর আগে প্রতিবেশী উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ কোভিড হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। প্রথম দফায় একদিনে তিনজন রোগীর হদিশ মিলেছিল কুশমণ্ডি থেকে। এরপর ফের একই এলাকা থেকে রোগীর সন্ধান মেলায় স্বাস্থ্য কর্তাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। কুশমণ্ডি ব্লকজুড়ে সাধারণ মানুষের মধ্যেও জল্পনা শুরু হয়েছে। বাসিন্দাদের মধ্যে তৈরি হয়েছে আতঙ্ক।
জেলাশাসক নিখিল নির্মলের কাছে করোনা আক্রান্তের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান এব্যাপারে জানাবেন মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক। আবার জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুকুমার দে’কে একাধিকবার ফোন করা হলেও এব্যাপারে তিনি কিছু বলতে চাননি।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, চতুর্থ করোনা আক্রান্ত ব্যাক্তি হরিয়ানা থেকে গত ১৫ তারিখ কুশমণ্ডি ব্লকে আসেন। ব্লক স্বাস্থ্য দপ্তর তাঁর সোয়াব সংগ্রহ করে তা পরীক্ষার জন্য পাঠায় মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। শ্রমিককে হোম কোয়ারেন্টাইন থাকার নির্দেশ দেয় ব্লক স্বাস্থ্য দপ্তর। তবে এখন করোনা পজিটিভ রিপোর্টের খবর মিলতেই শ্রমিককে জেলার কোভিড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পরিযায়ী শ্রমিকের সংস্পর্শে আসা ব্যাক্তিদের চিহ্নিত করতে জেলা প্রশাসন কুশমণ্ডি ব্লকে আক্রান্তের গ্রামে খোঁজ চালাচ্ছে।