কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
আলিপুরদুয়ার চেম্বার অব কমার্সের সাধারণ সম্পাদক প্রসেনজিৎ দে বলেন, খারাপ আবহাওয়ার কারণে অনেকেই এদিন দোকান বন্ধ রাখেন। আবহাওয়ার উন্নতি হলে দোকান খোলা হবে। আমরা প্রয়োজনীয় বিধি মেনে চলব।
ফেডারেশন অব চেম্বার অব কমার্সের (ফোসিনের) সম্পাদক বিশ্বজিৎ দাস বলেন, প্রশাসনিক স্তরে আলোচনার পর দোকান খোলা হল। লকডাউনের কারণে ৬০ শতাংশের বেশি লোকসান আমাদের হয়েছে। কর্মীদের বেতন দেওয়া সহ বাড়িভাড়া, বিদ্যুৎ বিল দিতে সমস্যা হচ্ছিল। বাজার খোলার আবেদন জানিয়ে আমরা সংগঠনের পক্ষ থেকে সরকারকে চিঠি দিয়েছিলাম। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দোকান খুলে রাখা যাবে। সরকারি এ সিদ্ধান্তে ব্যবসায়ীদের খানিকটা সুরাহা হবে।
শিলিগুড়ি খুচরো ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক বিপ্লব মুহুরি বলেন, শিলিগুড়িতে বিভিন্ন বাজার খুললেও হকার্সকর্নার আপাতত বন্ধ রয়েছে। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা সত্ত্বেও বাজারগুলি নিয়মিত স্যানিটাইজ করা হয়েছে। পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, পুরসভাকে নিয়মিত নজরদারি চালাতে হবে।
দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক এস পুন্নবালম বলেন, দোকান খোলা থাকলেও পাঁচজনের বেশি থাকা যাবে না। বাধ্যতামূলক মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে। পাশাপাশি পুরসভার সঙ্গে আলোচনা করে একটি মনিটারিং টিম গঠন করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রবেশদ্বার শিলিগুড়ি শহর। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলার পাশাপাশি সিকিম সহ ভুটান, নেপালের একাংশ মানুষ শিলিগুড়ির বাজারগুলির উপর নির্ভরশীল। এখান থেকে জামাকাপড়, চটিজুতো থেকে প্রাসধনী সামগ্রী কিনে নিয়ে যান। কিন্তু করোনার জেরে টানা লকডাউনে বন্ধ ছিল গুরুত্বপূর্ণ বাজারগুলি। লকডাউনের চতুর্থ ইনিংসে সরকারি নির্দেশ মেনে এদিন শিলিগুড়ি শহরের কন্টেইমেন্ট জোন ছাড়া অন্যান্য এলাকার দোকানপাট খুলে যায়। অনেকদিন পর দোকান খোলার ছাড়পত্র মেলায় অনেকেই তাঁদের দোকান খোলেন। কেউ কেউ আবার সকাল থেকে ঝিরঝিরে বৃষ্টির কারণে এদিন দোকান খোলেননি। তবে যেসব দোকান খুলেছিল ওসব দোকানে কেনাকাটা করতে অল্পবিস্তর ক্রেতা এসেছিলেন। এদিন শিলিগুড়ির বিধান মার্কেট, হিলকার্ট রোড সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় সকাল থেকে বিভিন্ন বাজার এলাকায় দোকান খোলা হয়।
কোচবিহার জেলায় জোড়-বিজোড় পদ্ধতি মেনে এতদিন দোকান খোলা রাখা হয়েছিল। এদিন সরকারি নির্দেশ মেনে বাজার খোলা হয়। যদিও বৃষ্টির কারণে দোকান বাজারে ভিড় তেমন চোখে পড়েনি। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়। কোচবিহারের পাশাপাশি আলিপুরদুয়ার জেলাতেও একই ছবি এদিন ধরা পড়ে। ব্যবসায়ীদের দাবি, লকডাউনের কারণে টানা প্রায় দু’মাস দোকান বাজার বন্ধ থাকায় বিপুল লোকসানের মুখে তাঁদের পড়তে হয়েছে।