গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক প্রণব ঘোষ বলেন, বালুরঘাটের হাই স্কুল মাঠে জল জমে গিয়েছে। সেইসঙ্গে সেখানে যে বাজার বসছিল, সেই অস্থায়ী দোকানগুলির কাঠামো ভেঙে গিয়েছে। পুরসভার তরফে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। মাঠে জমে থাকা জল বের করে দিয়ে ইটের গুড়ো ও বালি ফেলার কাজ চলছে। ক্ষয়ক্ষতির হিসেব এখনও জানা যায়নি। আধিকারিকরা এব্যাপারে বিশদে জানতে সমীক্ষা চালাচ্ছেন।
জেলা কৃষির মুখ্য অধিকর্তা জোর্তিময় বিশ্বাস বলেন, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাজুড়ে প্রায় সব এলাকার কৃষিজমির নিকাশি ব্যবস্থা ভেঙে গিয়েছে। যার ফলে জমিতে জল জমে গিয়ে বোরো ধান, পাট চাষ সহ অন্যান্য সব্জি চাষে ক্ষয়ক্ষতি লক্ষ্য করা গিয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৪০ শতাংশ বোরো ধান কাটা হয়ে গিয়েছিল। সেইসব চাষিরা ক্ষতির হাত থেকে বেঁচে গিয়েছেন। সাত হেক্টর জমির বোরো ধান শুয়ে পড়েছে। পাঁচ শতাংশ জমির ধান ঝড়ে পড়ে গিয়েছে। কৃষি দপ্তরের আধিকারিকরা ক্ষয়ক্ষতির হিসেব করছেন।
পতিরাম মাঝিয়ান কেন্দ্রের আবহাওয়া পর্যবেক্ষক সুমন সূত্রধর বলেন, জেলায় ৪২ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় বেগে ঝড় হয়েছে। দুর্যোগ তিনদিন থাকবে। শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত বৃষ্টিপাত চলবে। সেদিন বিকেলের মধ্যে আবহাওয়া পরিস্কার হয়ে যাবে।
এদিকে বুধবার বিকেল থেকে ঝড়ের ফলে জেলার একাধিক জায়গায় বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়ে গিয়েছে। বালুরঘাট শহর, গঙ্গারামপুর সহ একাধিক এলাকায় প্রায় ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ ছিল না। মাঝিয়ান আবহাওয়ায় দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত জেলায় গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ৪৯.৮ মিলিমিটার। শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত বৃষ্টিপাত চলবে। তবে নতুন করে ঝড়ের কোনও আশঙ্কা আর নেই বলে জানানো হয়েছে।
বালুরঘাট শহরের ত্রিধারা, নামাবঙ্গী, কলেজ মোড়, ট্যাঙ্ক মোড়, ছিন্নমস্তা এলাকায় একটানা বৃষ্টিপাতের কারণে জল জমে যায়। কার্যত বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের কারণে জেলাবাসী গৃহবন্দি হয়ে পড়েন। ঝড়ে বালুরঘাট, বংশীহাড়ি, হিলি, কুশমন্ডি, তপন এলাকার একাধিক বাড়ির টিনের চাল উড়ে গিয়েছে। বালুরঘাট-তপন রুটে বেশ কিছু এলাকায় বড় গাছ রাস্তার উপর পড়ে গিয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হতে হয়েছে কৃষকদের। ইতিমধ্যে জেলায় মাঠ থেকে বোরো ধান কাটার কাজ প্রায় অর্ধেক হয়েছিল। বাকি অর্ধেক জমিতে জল জমে গিয়েছে। ধানের গাছ শুয়ে পড়েছে। ঝড়ের কারণে পাকা ধান পড়ে গিয়েছে। পাটের জমিতে জল জমে যাওয়ায় গাছ নষ্ট হয়ে যাওয়ার প্রবল সম্ভবনা রয়েছে বলে কৃষি দপ্তর দাবি করেছে। একই ভাবে সব্জি গাছের গোড়াও পচে যাওয়ার সম্ভবনা থাকছে বলে কৃষি দপ্তরের তরফে দাবি করা হয়েছে।