কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
পুরসভার প্রশাসক পাপিয়া পাল বলেন, আমরা এদিন প্রথম বৈঠক করে কোভিড-১৯ মোকাবিলাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছি। শহরে স্যানিটাইজেশন, মাইকিং করা, ত্রাণ বিলি প্রভৃতি বিষয়গুলিকে জরুরি ভিত্তিতে দেখা হবে। এদিন পুরসভার দপ্তরগুলিকেও বণ্টন করা হয়েছে। স্যানিটাইজেশনের দায়িত্ব আমার হাতে থাকছে। তবে এই কাজে আমাকে সর্বতোভাবে সাহায্য করবেন বিশ্বজিৎ সরকার।
জলপাইগুড়ি পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রশাসকের হাতে থাকছে সাধারণ প্রশাসন, অর্থ, স্যানিটাইজেশন ও অফিস এস্টাব্লিশমেন্ট। সন্দীপ মাহাতর হাতে থাকছে পিডব্লুডি অ্যান্ড বিল্ডিং, ট্রেড লাইসেন্স ও হাউস ফর অল প্রকল্প। সৈকতবাবুকে জল, আম্রুত প্রকল্প, ইউপিই সেল, এনএউএইচএম ও এইউএলএম-এর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বিশ্বজিৎ সরকারের হাতে থাকছে পুরকর ও আলোর দায়িত্ব। নিপু সরকারের হাতে থাকছে মার্কেট, সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট ও স্টোরের দায়িত্ব। এদিন দুপুরে পুরসভার প্রশাসনিক বোর্ডের নতুন দায়িত্ব পাওয়া সদস্যরা পুরসভায় যান। সেখানে পুরসভার আধিকারিকদের সঙ্গে দফায় দফায় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনাও হয়। এরই মধ্যে বৈঠক করে দপ্তরগুলি ভাগ করে দেওয়া হয়। পুরসভার একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, বিগত দিনে যাঁদের হাতে যে দপ্তরগুলি ছিল সেগুলি রেখে অতিরিক্ত কিছু দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
গত রবিবার জলপাইগুড়ি পুরসভার তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত বোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়েছে। তার আগেই দীর্ঘদিনের চেয়ারম্যান মোহন বসুকে সরিয়ে প্রশাসক নিয়োগ করা হয়েছে।
এই বিষয়টিকে কেন্দ্র করে মোহনবাবু তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্তের অভিযোগ তুলেছেন। কিন্তু প্রশাসক নিয়োগ হয়ে যাওয়ার পর কার্যত তাঁর আর কিছু করার ছিল না। এদিকে, কংগ্রেসও পুরসভায় প্রশাসক নিয়োগের বিষয়টিকে ভালো চোখে দেখছে না। তারাও এই বিষয়টির বিরোধিতা করে ইতিমধ্যেই সাংবাদিক সম্মেলন করে তাদের আপত্তির বিষয়গুলি তুলে ধরেছে। তারা মামলার হুমকি পর্যন্ত দিয়েছে। এদিকে নতুন প্রশাসনিক বোর্ড দায়িত্বভার পাওয়ার পর থেকেই কে কোন দপ্তরের দায়িত্ব পাবেন তা নিয়ে একটা জল্পনা ছিলই। এদিন তারই অবসান হল। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে এমনিতেই এখন সব জায়গার মতো জলপাইগুড়িতেও একটা ভিন্ন পরিস্থিতি রয়েছে। সেই সময়ে দাঁড়িয়ে নতুন বোর্ড বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার মধ্যে কতটা ভালো কাজ করতে পারে সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন শহরের বাসিন্দারা।